অভারটেক করতে গিয়ে একটি ড্রাম ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লেগে সীতাকুণ্ড বটতল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত এবং আহত হন ৩০ জন। এরমধ্যে ১২ জনকে গুরুত্বর অবস্হায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দূর্ঘটনা কবলিত বাসের আহত যাত্রী জানায়, তিনি বারৈয়ারহাট থেকে এই সিডিএম পরিবহন বাসটিতে উঠেছেন বিকাল সোয়া ৫ টায়। সীতাকুণ্ডের বটতল নামক স্হানে আসার পর বাসটি একটি ড্রাম ট্রাকের পিছনে ধাক্কা খেলে মূহুর্তের মধ্যে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বাসের যাত্রীরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
যাত্রীদের মধ্যে কারো হাত নেই, কারো পা নেই, বেশীর ভাগ যাত্রীর মাথায় আঘাতে সারা শরীর লাল রক্তাক্ত হয়ে যায়। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশু ও রয়েছে। স্হানীয়া এগিয়ে আসে কিছুক্ষণ পর সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ী ও পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেন। সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য প্রকল্পের চিকিৎসক ডাক্তার সাজিদা জানায়, দূর্ঘটনা কবলিত আহতদেরকে ফায়ার সার্ভিস ও স্হানীয়রা হাসপাতালে আনার পর আমরা বাহিরে থাকা চিকিৎসকদেরকেও এনে চিকিৎসা দেই।
চিকিৎসকগন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২০ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত হেড ইন্জুরী ১২ জন রয়েছে। সেখানে অনেকেরই হাত কাটা, পা কাটা, মাথায় গুরুত্বর যখম রয়েছে। অনেক রক্ত ঝড়ছে শরীর থেকে। হাসপাতালে একজনকে মৃত ঘোষনা করেন।
চমেক হাসপাতালে প্রেরণকৃত রোগীদের কি অবস্হা জানা যায়নি। চমেক হাসপাতালে প্রেরণকৃত গুরুত্বর আহতদের মধ্যে অর্নব দেব (২২) পিতা বিজয় দেব, মোঃ রনি (৩৫) পিতা:গোলাম হোসেন, রিজভী (৩২),পিতা: ইব্রাহিম, রিংকু (৩০) নয়ন (২০) পিতা : সেন্টু সিকদার, অর্নব, জাহাঙ্গীর আলম। এরা সবাই হেড ইঞ্জুরী বলে চিকিৎসকরা জানায়। দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে কামাল (৪০) ও শাহ আলম (৫০) এর নাম জানা গেলেও নিহত অন্য তিনজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি হাইওয়ে পুলিশ।
