পটুয়াখালীর দুমকিতে তিন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৩ নভেম্বর উপসচিব হরিদাস ঠাকুরের সই করা চিঠিতে বরিশাল বিভাগের ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার তিন জন রয়েছেন। গেজেট বাতিল হওয়া তিন মুক্তিযোদ্ধা হলেন উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া গ্রামের প্রয়াত হাতেম আলী খলিফার ছেলে মোঃ মোক্তার আলী খলিফা (গেজেট নম্বর ৫৭০), উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের প্রয়াত রাজেন্দ্রলাল ঘোষালের ছেলে সন্তোষ কুমার ঘোষাল (গেজেট নম্বর ৪৭২) এবং উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের প্রয়াত সের আলী বিশ্বাসের ছেলে আশ্রাব আলী বিশ্বাস(গেজেট নম্বর ৪৭৫)।
জানাগেছে পাঙ্গাশিয়া এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক উক্ত মুক্তি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করলে মন্ত্রণালয় অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বছরের ২০ অক্টোবর তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিলে ওই বছরের ৪ নভেম্বর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ আল- আমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরবর্তীতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ( জামুকা) পূনরায় উক্ত মুক্তি যোদ্ধাদের কার্যালয়ে ডেকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর বরিশাল বিভাগের ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করে পরিপত্র জারি করেন।
গেজেট বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আশ্রাব আলী বিশ্বাসের মোবাইলে কল করে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে মোক্তার আলী খলিফা বলেন, গেজেট বাতিল হয়েছে কী না তা তিনি জানেননা।
অপর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার ঘোষালের মোবাইল বন্ধ থাকায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি
দুমকি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ আজিজ সরকার বলেন, ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকাকালীন আমার কাছে ৪ টি রাইফেল ছিলো। তিন জনকে তিনটি দেয়ার পর বাকী একটি দেয়ার লোক পাইনি। একটা রাইফেল আমাকেই নিতে হয়েছে। আরো জানার থাকলে তিনি প্রতিবেদককে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে বলেন।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, গেজেট বাতিল হওয়ার চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা
