More

    বিকাল ৫টার মধ্যে ঢাবির সব হল খালি করার নির্দেশ

    অবশ্যই পরুন

    ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা পর রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে সব হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।সেখানে বলা হয়, প্রভোস্ট কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ১. গত শনিবার জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে হল খালি করার বিষয়ে স্ব-স্ব হলের প্রভোস্টদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    ২. হল ছেড়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যবান জিনিস-পত্র সঙ্গে নিয়ে বের হবে এবং কক্ষের চাবি হল প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে যাবে।

    ৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    এছাড়া উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, সদস্য-সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও অন্যান্য প্রভোস্টরা ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন।

    শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীদের লাফিয়ে পড়ে আহত হওয়ার খবর আসে। এর মধ্যে শনিবার আরো তিন দফা ভূমিকম্পের পর আতঙ্ক আরো বাড়ে।

    এ অবস্থায় শনিবার প্রথমে একদিনের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এক সিন্ডিকেট সভায় আতঙ্কে থাকা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।

    রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে দেখা যায়। তবে কিছু শিক্ষার্থী হলে থেকে যাওয়ার ইচ্ছার কথা বলেন।

    হল ছাড়ার নির্দেশের পরও কেন হলে থাকছেন জানতে চাইলে বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমার আগামী মাসে বেশ কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা আছে। এখন হল ছাড়লে আমি কীভাবে প্রস্তুতি নেব? আমার তো ঢাকায় কেউ নেই।”

    হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাজী নওশাদ বলেন, “ছুটিটা প্রাসঙ্গিক। তবে এখন হল ছাড়া তো সম্ভব না। আমার পরীক্ষা আছে। বাসায় গেলে পড়া হবে না। তাই, হলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    যে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে চাইছেন, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ দুপুরে বলেছিলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটাতো শিক্ষার্থীদের বোঝা উচিত। আনন্দে তো আর বন্ধ দিইনি।আমরা আশা করি শিক্ষার্থীরা এটা বুঝবেন। আমরা তাদেরকে বোঝাব।”

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    কালকিনিতে সার্বিক পরিবহনের ধাক্কায় যুবক নিহত

    ​মাদারীপুরের কালকিনিতে সার্বিক পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় রাকিব মোল্লা (১৮) এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় রবিন(২২) নামের আরও...