স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মুহম্মদ শাহ আলম সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে তাদের জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গতকাল ২৪ নভেম্বর রাত ৮টায় গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যু, নির্বাচনী পরিবেশ ও নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মুহম্মদ শাহ আলম বলেন,“বুকের ভিতর তাজা রক্ত বের হয়ে আমরা কানে শুনছি পথে পথে, প্রান্তে প্রান্তে একটি শব্দ—জিতবে এবার চাষাভুষা, জাগবে শ্রমিক, ছাত্র-জনতা, জাগবে মাঝিমাল্লা, জিতবে দাঁড়িপাল্লা।” তিনি দাবি করেন, গলাচিপা ও দশমিনা অঞ্চলের বর্তমান আবহাওয়া দাঁড়িপাল্লার পক্ষে বিপুল ভোটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা না করে সৌজন্য বজায় রাখাই জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক রেওয়াজ বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও একই সৌজন্য বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, “দাঁড়িপাল্লাকে কোরআনের পক্ষে থেকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে জনগণ—আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।” ৩৪ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি জানান, তার হাজারো প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার বিবেকবান নাগরিকরা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। গলাচিপা ব্রিজ নির্মাণ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিত হওয়ার আগেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে উদ্যোগ নিয়ে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংবিধানে গণভোট বিষয়ক মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল বলছে সংবিধানে গণভোট নেই—আমরা বিস্মিত। সংবিধানে নির্বাচনও নেই। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির পর পরবর্তী নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। কিন্তু বিপ্লব-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে—তার আগে আমরা গণভোট চাই।” ‘পিয়ার সিস্টেম’ নিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন যে এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি ভোটের পূর্ণ মূল্যায়ন সম্ভব হবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “একজন প্রার্থী ১ লাখ ৫ হাজার ভোট পেল, প্রতিদ্বন্দ্বী পেল ১ লাখ ৩ হাজার ৯ শত—তাহলে মাত্র ১১ শত ভোটে পরাজয়। এতে পরাজিত প্রার্থীর ভোটারদের ভোট অবমূল্যায়িত হয়। আমরা চাই, কোনো ভোটই অবমূল্যায়িত না হোক।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. মো. জাকির হোসাইন, সাবেক উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ইয়াহিয়া খান প্রমুখ।
