ভুয়া ভাউচারে অর্থ আত্মসাতসহ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে বরিশাল সদর খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনফোর্সমেন্ট অভিযানে বিভিন্ন অসঙ্গতি মিলেছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের বরিশাল অফিস এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদক জানায়, বরিশাল সদর খাদ্য গুদামে রাইস মিল থেকে চাল ক্রয়ের ভুয়া ভাউচার সৃষ্টি করে অর্থ আত্মসাতসহ নানাবিধ দুর্নীতি-অনিয়ম এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় যে, বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চাহিদার ভিত্তিতে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত মেসার্স আমিন রাইস মিল (হাস্কিং) থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়, বরিশাল প্রদত্ত রাইস মিল পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে যে মিলটি ২০২৪ সালে সক্রিয় ছিল এবং সরবরাহ করা চালের বিল যথাযথভাবে মিলের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।
পরে ২০২৫ সালে নির্ধারিত সময়ে চাল সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় ওই রাইস মিলটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর খাদ্য গুদাম, বরিশাল এর সম্পদ-সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, বরিশাল সরকারি খাদ্য গুদামের ৩৫ টন চাল-গম উধাও হয়ে গেছে। কয়েক মাস ধরে এসব চাল-গম বেহাত হয়েছে। সম্প্রতি চাল-গম আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মনিরুজ্জামান নামের একজন কর্মকর্তাসহ একটি গ্রুপে বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
যার একাধিক অভিযোগের তদন্ত চলছে। গুদামে ৩৫ টন চাল-গম মজুতের তথ্য মিলেছে এরইমধ্যে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শুধু ৩৫ টন চাল-গমই নয়, ১০০ টন মজুতের ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
