বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নানা সংকটের প্রতিবাদে এবং দ্রুত সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের কাছে প্রতীকী ‘মুলা’ পাঠিয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে মুলা জমা দিয়েছেন। এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করেছে, অনশন করেছে।
তখন উপাচার্য ও প্রক্টরসহ শিক্ষকরা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ১৪০ একরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু অনশন প্রত্যাহার করার তিন মাস হতে চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ন্যূনতম কিছু আমরা পাইনি। তিনি আরও বলেন, গত ৬ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠের বাজে অবস্থা। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না।
মুক্তমঞ্চের মাঠে গিয়ে খেললে পাশের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়। ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে এখন তাদের বেতন দিতে পারছে না। শিক্ষকরা বেতন না পেয়ে ক্লাস নিতেও আগ্রহী নয়। ২০২৫ সালের মধ্যে ছাত্রসংসদের নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল। সেটাও রাখতে পারেনি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন করার ‘মুলা’ ঝুলিয়েছে। তাই নীরব প্রতিবাদ হিসেবে মুলা দেওয়া হয়েছে। এ সময় হাসিবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কোনো দফতর যদি সহায়তা না করে, সেই দফতরেও মুলা পাঠিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা না পারলে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকেও মুলা দিয়ে আসবে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকট চলমান থাকলেও আমরা এর কোনো কার্যকর সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের একের পর এক শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে, যা এখন ‘মুলা’তে পরিণত হয়েছে। এই মুলা নিতে নিতে আমরা বিরক্ত। তাই আজ প্রশাসনের দেওয়া সেই ‘মুলা’ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে প্রশাসনকেই ফিরিয়ে দিলাম।
আশা করি, এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টনক নড়বে এবং তারা বাস্তব সমাধানের দিকে এগোবে। এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সালকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
