গৌরনদীতে কোনো ধরনের বৈধতা ছাড়াই প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। বাংলাদেশ আইনে যেখানে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ, সেখানে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাউরগাতী নদীর তীরে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন, আর প্রতিদিনই উত্তোলন ও পরিবহনের মাধ্যমে চলেছে বালুর রমরমা ব্যবসা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউরগাতী নদীর পার ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। সাদি মিরার বাড়ির পাশের নদী দিয়ে জাহাজে করে নিয়মিতভাবে বালু আনা-নেওয়া হচ্ছে। এতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নদীপাড়ে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি ও জমি ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়ছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে—
– রফিকুল ইসলাম রোকন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল (বর্তমানে বহিষ্কৃত)
– রাজিব খান, গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদল
-সাহারাজ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক, গৌরনদী কলেজ ছাত্রদল
-ফুয়াদ হোসেন ইকবাল, সভাপতি পদপ্রার্থী, বার্থী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—এলাকায় বালু উত্তোলনের কাজে প্রভাব বিস্তার ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বরিশাল ডট নিউজ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ কোনো সদুত্তর দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন আরও বেড়ে গেছে। নদীভাঙন, পরিবেশ ক্ষতি ও জনজীবনে সম্ভাব্য বিপদের কথা তুলে ধরে তারা অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
