More

    পটুয়াখালীতে বাঁধ ভেঙে পানির নিচে ৫০০ একর আমন ক্ষেত

    অবশ্যই পরুন

    পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ৪নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের হাজিখালী খালের বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ৯টি গ্রামের প্রায় ৫০০ একর আমন ক্ষেত বিনষ্টের পথে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে আবেদন করেছে স্থানীয় প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন মহল।

    লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইউব খান, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি খন্দকার আতাহার উদ্দিন, ৪নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনসহ অনেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পায়রা নদীর শাখা থেকে মেন্দিয়াবাদ ও হাজীখালী গ্রামের সংযোগস্থল থেকে উৎপত্তি হয়ে হাজীখালী খাল দেউলীর বেবেরদোন নদীতে পতিত হয়েছে। এর রয়েছে রানীপুর, বোয়ালিয়া, মুসুদাসহ অনেকগুলি শাখা খাল।

    হাজীখালী খালের উভয়প্রান্তে বাঁধ এবং একটি সুয়েজ দিয়ে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়ে শাখা খাল দিয়ে বিভিন্ন শস্যক্ষেতে যায়। যার ওপর ভিত্তি করে হাজীখালী, মেন্দিয়াবাদ, রানীপুর, সাতবাড়িয়া, দেউলী, লেমুয়া, চত্রা, চরখালী, গোলখালীসহ অনেক গ্রামের কৃষির সেচ ব্যবস্থা চলমান। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে পায়রা নদীর প্রান্তে খালের বাঁধ ভেঙে যায়। যার ফলে এই গ্রামগুলোর সমস্ত আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিদিন জোয়ারের পানি উঠে আরও পানির স্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    যার ফলে সমগ্র আমনের ক্ষেত নষ্টের পথে। স্থানীয়রা জানান, আমন ধান শুকনো মৌসুমের উদ্ভিদ। পানির নিচে তলিয়ে থাকায় একটি ধান ঘরে উঠানো সম্ভব হবে না বলে আমাদের পথে বসতে হবে। মাহাবুব নামের এক কৃষক জানান, আমাদের জীবিকা নির্বাহ এই আমন ধানের ওপর শতভাগ নির্ভর করে।

    তার ওপরে অনেকেরই মাথায় ঋণের বোঝা। খালে বাঁধ দেওয়া না হলে আমাদের সমগ্র ধান নষ্ট হয়ে যাবে। একটি ধান ঘরে তোলা যাবে না। এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি ও স্থানীয় খন্দকার আতাহার উদ্দিন বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল মূলত এক সিজনাল আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। ৫০০ একর জমির আমন ধান পানিতে নষ্ট হওয়ার ধকল সামলানো যাবে না। সমগ্র কৃষককে পথে বসতে হবে। ক্ষেতে পানি থাকলে ডাল, বাদাম, আলু, তরমুজ, সূর্যমুখী ফুলসহ কোনো রবি শস্য আবাদ করা সম্ভব হবে না।

    তাই আমরা ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বাঁধ নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। তিনি স্থানটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. মলিহা খানম বলেন, দ্রুত বাঁধ নির্মাণের একটি আবেদন পেয়েছি। স্থান পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন যুব ও ক্রীড়া, সমবায়, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও...