বরিশালে ছোট ভাইয়ের সাথে প্রতিপক্ষের বিরোধের জেরে বড় ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার মাছঘাটে ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
গভীর রাতে হামলাকারীরা মাছঘাটে লুটপাট করে ভাংচুর চালিয়ে বসতঘরেও। এই ঘটনায় বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর তীরে শনিবার রাত ১১টায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মুরাদ রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা সম্পর্কে জানতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইলে কল দেওয়ার পর লাইনটি কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন অভিযুক্ত চানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা বাহাউদ্দীন ঢালী।
থানা পুলিশ ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাড়ীর জনৈক এক ছেলে তার স্ত্রীকে প্রায়শই নির্যাতন করতেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. রফিক খন্দকারের ছোট ভাই মোহাম্মাদ খন্দকার এর প্রতিবাদ করে।
এই ঘটনার জের ধরে শনিবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন ঢালী তার ক্যাডার সজল কাজী, শাহীন সিকদার, রাসেল সিকদার, শাহাব উদ্দীন সরদার, শামিম সরদার, শাকিল হাওলাদারসহ ৩০/৪০ জনের একদল বাহিনী স্থানীয় বাদামতলী বাজারে মহড়া দেয় এবং মোহাম্মদ খন্দকার ও তার ছেলে জহির খন্দকারকে খুঁজতে থাকে। এসময় বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের ওই ক্যাডার বাহিনী দেশীয় রামধা, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তেতুলিয়া নদীর তীরে অবস্থিত মোহাম্মাদ খন্দকারের বড় ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রফিক খন্দকারের মাছঘাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় মাছঘাটে রক্ষিত ৪৮ হাজার টাকা ও প্রায় ২০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এরপর হামলাকারীরা রফিক খন্দকারের বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় তারা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ঘরের আশপাশে বেশ ক্ষতিসাধন করে।
বাঁধা দিতে এলে মোহাম্মদ খন্দকারের ছেলে জহির খন্দকারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ভুক্তভোগি রফিক খন্দকারের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা মাছঘাটে লুট করে আমার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে এবং ঘরে আলমারিতে থাকা ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চানপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাউদ্দীন ঢালীকে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর মোবাইলের লাইন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মুরাদ রহমান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা-ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। লুটপাটের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হবে। দুই পক্ষ থেকেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি তদন্ত।