বরিশাল মহানগরের ২৭নং ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাশী কষ্টার্জিত আয়ের টাকা দিয়ে মনির হাওলাদারের ক্রয়কৃর্ত ৫শতাংশ জমির মধ্যে থেকে দেড় শতাংশ জমি ক্ষমতাসিন দলের সাইবোর্ডের ব্যানার লাগিয়ে নিজ এলাকার বিতর্কিত মাদকাশক্ত আইনজীবী এ্যাড, রবিউল ইসলাম রিপনের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্য অসহায় হয়ে শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সৌদি প্রবাশী মনির হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বুলবুল ও তার পরিবার বর্গ।
আজ রোববার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রবাশী মনির হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বুলবুল লিখিত পাঠ করার মাধ্যমে এ্যাড, রবিউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী সৌদি প্রবাশী মনির হাওলাদার তারকষ্টার্জিত আয়ের টাকা দিয়ে নগরীর সোনামিয়ার পুল এলাকার রিপনের বাড়ীর পাশ্বে ২০১৬ সালে ডেফুলিয়া নিবাশী জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন শরীফের কাছ থেকে ডেফুলিয়া মৌজার ১২৩৫ নং দাগে ৫শতাংশ ক্রয় করার পরও আজ পর্যন্ত রিপনের দখলবাজ প্রভাবের কারনে এখনো দেড় শতাংশ জমি দখল নিতে পারেননি তারা।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন দলিল মোতাবেক জমির মালিক আলাউদ্দিন শরীফ জামায়াতের রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারনে এ্যাড. রবিউল ইসলাম রিপন ও তার ভাই শিপন এলাকার একজন মারমুখি প্রকৃতির লোক হওয়ার কারনে আলাউদ্দিন শরীফকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কাছে ভিড়তে দিচ্ছেনা।
এছাড়া ক্রয়কৃর্ত জমি মেপে বুঝ নিতে চাইলে রিপন ও শিপন দু’ভাই মিলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দেয়া সহ তারা জমির অপর অংশ নেয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
এমনকি টাকা না দেয়া পর্যন্ত জমির বুঝ পাওয়া যাবে না বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফাতেমা বুলবুল আরো বলেন এ্যাড, রবিউল ইসলাম রিপন ও তার ভাই শিপন এলাকায় এক ধরনের আতংক ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিতি অর্জণ করায় তাদের ভয়ে কেহ এগিয়ে আসতে চায় না।
এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাশীও ওদের কাছে এক প্রকার অসহায় বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন করোনাকালীন সময়ে মদ্যপ অবস্থায় ডেফুলিয়া এলাকায় জোড় পূর্বক টিসিবি’র মাল বিক্রয় কাজে বাধা প্রদান করা হলে সেসময় জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ্যাড, রবিউল ইসলাম রিপনকে গ্রেফতার করে ৭দিনের সাজা প্রদান করে।
সে আজ পর্যন্ত উক্ত এলাকায় টিসিবি’র মালামাল বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে সৌদি প্রবাশীর জমি দখল করে রাখার কারনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খাঁনের নিকট ২৭ই সেপ্টেম্বর একটি আবেদন করা হলে তিনি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিলে থানা পুলিশ এসআই আসাদুজ্জামানকে তদন্তে পাঠান।
এসআই আসাদুজ্জামান তদন্তে গিয়ে রিপন ও শিপনের তোফের মুখে পুরোপুরি তদন্ত না করে ফিরে আসতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ করেন।
যেখানে একজন দায়ীত্বশীল পুলিশ অফিসার সহ স্থানীয় জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি কাউন্সিলর এদের কাছে অসহায় জিম্মী হয়ে পরে সেখানে আমাদের মত সাধারন মানুষ এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়ার কারনে আমরা আজ আইনের সাহায্য পাচ্ছি না।
তাই আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতার মাধ্যমে আমাদের ক্রয়কৃর্ত জমির বাকি অংশ ফিরে পাবার কামনা করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাতেমা বুলবুলের শশুর আঃ মজিদ হাওলাদার হাওলাদার, ভাসুরে স্ত্রী সোনিয়া আক্তার,ভাসুরে ছেলে ইয়াকুব হাসান ও ফাতেমার ছোট ছেলে।
উল্লেখ্য গত ২৮ই অক্টোবর এ্যাড, রবিউল ইসলাম রিপন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর ইসলাম ও ফাতেমা বুলবুলের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ আনেন।