বরিশাল- পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরূদ্বে নানা অজুহাতে সাধারণ মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । কোন মালিক ত্র টাকা দিতে অস্বিকার করলে তাদের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ত্র নেতাদের বিরুদ্বে । গত দু-তিদিন ধরে বাকেরগজ্ঞ উপজেলার পেয়ারপুর নামক স্থানে গড়ে ওঠা ত্রকটি মালিক সমিতি বন্ধ করার লক্ষে ঐ নেতা ২৭ লাখ টাকা উওোলন করার মিশনে নেমেছেন ।
েএ টাকা উওোলন করার ক্ষেত্রে পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ত্রকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । কমিটির অনান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মন্নান মোল্লা, নাসির মৃধা, যুগ্ন সম্পাদক -১ মমিন উদ্দিন কালু, যুগ্ন সম্পাদক -২ আবু সেলিম হাওলাদার ও দপ্তর সম্পাদক আলামিন জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্রটি। ত্র সদস্যরা প্রত্যক মালিকদের ৩০ হাজার টাকা নির্ধারন করে দেয় ।
সম্প্রতি প্রায় ২৬ জন মালিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত টাকা উওোলন করেছেন । তবে টাকা নেয়ার বিয়টি গুটি কয়েক সদস্য অস্বিকার করলেও অনেকেই শুনেছেন, জানেন বলে ত্রড়িয়ে গেছেন । মালিক সূত্রে জানা যায় , পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির ১১১জন মালিক রয়েছেন । রুপাতলী থেকে বিভিন্ন রুটে তাদের বাস চলাচল করে থাকে । ত্রমত অবস্থায় বাকেরগজ্ঞ উপজেলার পেয়ারপুর নামক স্থানে ত্রকটি মালিক সমিতি গড়ে তুলেছে কতিপয় ব্যক্তি । পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতি থাকা সত্বেও উপজেলায় ত্রকটি মালিক সমিতি গড়ে ওঠার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সংগঠনের নেতারা ।
ফলে ঐ মালিক সমিতির বিষয় গত ত্রক সপ্তাহ পূর্বে বিসিসি মেয়রের কাছে দ্বারস্থ হন বরিশাল- – পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন ও মালিকরা বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু সেলিম হাওলাদার ।
তিনি বলেন, মেয়রের কাছে আমিসহ ১০০ জন মালিক দেখা করতে গিয়েছিলাম । সেসময় বাকেরগজ্ঞ উপজেলার পেয়ারপুর নামক স্থানে গড়ে ওঠা মালিক সমিতির বিষয় আলাপ করা হলে তিনি প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্য বলে দেন । ত্রছাড়া তার কাছে বিভিন্ন দাবী – দাওয়া তুলে ধরা হয় । মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি (সেলিম হাওলাদার) কারো কাছ থেকে টাকা নেই নি । সদস্য করার বিষয়টি আমার জানা নেই । অপর ত্রক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার কাছে ৩০ (ত্রিশ হাজার) টাকা চাওয়া হইছে, কিসের জন্য তা জানি না ।
তাবলিকে ছিলাম, তাই মালিক সমিতিতে যাওয়া হয়নি, তবে সমিতিতে গেলে জানতে পারবো । মন্নান মোল্লা ভালো বলতে পারবেন বলেন তিনি । আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মন্নান মোল্লা টাকা উওোলন করার ঘটনা অস্বিকার করে বলেন, কোন বাস মালিক বলতে পারবেনা তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে । কেউ ভূল তথ্য দিছে । মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহিন বলেন, বাস মালিকদের কাছ থেকে টাকা উঠানোর বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইনা, তবে শুনেছি । নাম প্রকাশে শর্তে ত্রকাধিক মালিক জানান, বাকেরগজ্ঞ উপজেলার পেয়ারপুর নামক স্থানে গড়ে ওঠা মালিক সমিতি বন্ধ করা বিষয় প্রশাসনসহ থেকে সকল ঝুট-ঝামেলা রক্ষার্থে প্রত্যক মালিকদের ৩০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন ।
আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরসহ ৫ সদস্য ত্র টাকা তুলবেন । ফলে গত-তিনদিন ধরে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে টাকা চেয়েছেন । তারা বলেন, টাকা না দিলে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি ত্রসেছে। তাই অনেকেই ইতিমধ্যে টাকা দিয়ে দিছেন । তারা আরো বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ত্রমনিতেই লোকসানের মুখে রয়েছি, তার ত্রর ভিতরে চাঁপ দিয়ে টাকা নিচ্ছে । ত্রখানেই শেষ নয়, রাজনৈতিক , প্রশাসনের নামে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন । ব্যবসার করার সুবাধে মুখ খুলছি না ।
প্রশাসনিক সংস্থা গোপনে তদন্ত করলে দুর্নীর্তির সকল ঘটনা বেরিয়ে আসবে । তারা বলেন, প্রতিবারই যদি ত্রমন নেতা বাস মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রনে থাকেন, তাহলে দুর্নীর্তির স্বর্গ্যরাজ্য পরিনিত হওয়াটাই স্বাভাবিক । ত্র থেকে পরিতানের জন্য বিসিসি মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা । ত্র ব্যপারে সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, পেয়ারপুরের মালিক সমিতি বন্ধ করার আমি কে? কোন মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে না । আমার বিরুদ্বে অপ্রচার চালানো হচ্ছে ।