বরিশাল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ পেয়েই এক সংখ্যালঘুর জমি দখলে উঠেপরে লেগেছে শেখর দাস । সম্প্রতি ১০ নং ওয়ার্ডের নবগঠিত কমিটি অনুমোদন পায়, ওই কমিটিতে সাধারন সম্পাদক হিসাবে পদ পায় শেখর দাস, এর পরেই কালেকটরেট কোর্ট কম্পাউন্ডের পশ্চিম পার্শে বহু বছর থেকে বসবাসকারী হিন্দু পরিবার অমর চন্দ্র দাস গংদের পৈতিৃক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি দখলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি অমরচন্দ্র দাস কোতয়ালী থানায় সাধারন ডায়রী এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিয়োগে প্রাপ্ত সুত্র মতে, অমর দাস তার পৈত্রিক ভিটায় বহু বছর যাবত বসবাস করে আসছে। ওই বাড়িতে ৮ বছর পূর্বে ভাড়াটিয়া হিসাবে ওঠে শাওন দাস নামের এক ব্যাক্তি, অদ্যাবধি শাওন দাস ঠিকভাবে বাসা ভাড়ার টাকা দিয়ে আসছে। তবে, সম্প্রতি শাওন দাসের নিকট ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে শাওন দাস প্রথমে গড়িমশি করে।
পরবর্তী মাসে আবার ভাড়ার টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো গালিগালাজ করে এবং উল্টো হুমকি ধামকি দেয়। ভুক্তভোগি অমর দাস খোজ নিয়ে জানতে পারে , ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শেখর দাস ভাড়াটিয়া শাওন দাসকে ভাড়া প্রদান করতে নিষেধ করে ।
শুধু তাই নয় শেখর দাস সম্পুর্ন বেআইনিভাবে ওই জমির মালিকানাও দাবী করছে। কোতয়ালী থানায় সাধারন ডায়রীর প্রেক্ষিতে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজান ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় শেখর দাস ওইস্থানে উপস্থিত হয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও হুমকি ধামকি দেয়।
এ সময় এস আই মামুন অনেকটাই কিং কর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বিষয়টি দেখবেন বলে জানান এস আই মামুন।
এ বিষয়ে শেখর দাস শেখরের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা না বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ফোন রেখে দেয়। এমনকি মেয়র বা পুলিশ এ ব্যপারে কিছুই করতে পারবেনা বলে ঔধ্যত্ত ও দম্ভোক্তি প্রকাশ করে।
প্রসংগত, শেখর দাস প্রয়াত মেয়র হিরনের সময়কালে হিরনের একান্তভাজন হয়ে কাজ করেছে,এমনকি তখন মেয়র হিরন প্রদত্ত একটি মোটর সাইকেল যা এখনও নিজ হেফাজতে রয়েছে।
এখানেই শেষ নয় পরবর্তীতে বিএনপি সমর্থীত মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়কালে মহসিন মার্কেটে একাধিক ষ্টল জোর পূর্বক দখল করে নেয়। লঞ্চঘাট এলাকায় সবজি বাজারে তার চাঁদাবাজির খবর ইতোপূর্বে স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
ওইসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছিল। সেই শেখর দাস এখন সময়ের সাথে পাল্টি দিয়ে বর্তমান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্তভাজন হবার চেষ্টা চালাচ্ছে।