বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের একটি বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। এঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ রয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে কোন টাকা আদায় করা যাবে না। তারপরেও উপজেলা সদরের ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার খাতা জমা নেওয়ার সময় প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ ২০০ থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এঘটনায় শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্তরে সোমবার বিক্ষোভ করেছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মতে সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন বিদ্যালয়গুলো। সরকারের নির্দেশ রয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে কোন টাকা আদায় করা যাবে না। তারপরেও সরকারের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা সদরের ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে স্কুলের শিক্ষকরা টাকা আদায় করছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীতে ২শত টাকা, অষ্টম শ্রেনীতে ২শত ৫০ টাকা ও নবম শ্রেনীতে ৩শত করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এই করোনার সময় এই টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সোমবার স্কুল চত্তরে বিক্ষোভ করেছেন। এব্যাপারে ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের দোষ কি? উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্ধারিত টাকা আমরা আদায় করছি। উপজেলার প্রায় স্কুলই এই টাকা আদায় করছে। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ জানান, অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে স্কুলে টাকা আদায় করার কোন সিদ্বান্ত দেয়নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। যারা টাকা আদায় করছেন এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন টাকা আদায় করা যাবে না বলে জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, আমাদের অফিসের টাকা নেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত নেই। সরকারের কঠোর নির্দেশ রয়েছে এই সময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট নিয়ে কোন কিছু করা যাবেনা। যদি এই ধরণের কোন কাজ বিদ্যালয়গুলো করে থাকে তবে সেই সব বিদ্যালয়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।