রাজধানী গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় ইয়াবা মামলায় মো. রাজিব হোসেন রাজুকে নামে এক আসামিকে শাস্তি হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের বই পড়া ও ছবি দেখা এবং গাছ রোপণের মাধ্যমে সংশোধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার রায়ের আদেশ একথা উল্লেখ করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিচারক রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন, আসামি রাজিব হোসেনকে রাজুকে শাস্তির পরিবর্তে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধায়নে এক বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করা হলো। এই সময়ের মধ্যে আসামি একই ধরনের বা অন্য কোনও অপরাধ করবেন না। মাদক সেবন করবেন না, খারাপ সঙ্গীর সঙ্গে মিশবেন না। কোর্ট ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে তাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ওপর প্রকাশিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ‘একাত্তরের চিঠি’ এবং নৈতিকতার ওপর প্রকাশিত ২টি বই পড়তে হবে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত সিনেমা ‘আগুনের পরশমনি’ দেখবেন। একই সময়ে তিনি ২টি বনজ ও ৩টি ফলজ বৃক্ষরোপণ করবেন।
রায়ের আদেশে আরও উল্লেখ করেন, যদি আসামি উল্লিখিত কোনও শর্ত ভঙ্গ করেন বা তার আচরণ সন্তোষজনক না হয়, তাহলে প্রবেশন বাতিল হবে। শাস্তি হিসেবে ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। তবে তার প্রবেশন সময় সন্তোষজনক হলে আসামির চাকরিসহ ভবিষ্যৎ জীবনে কোথাও অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আসামি রাজিব হোসেন রাজুকে গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় এসকে দাস রোডস্থ নাজির হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে ৩০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় পরেরদিন গেণ্ডারিয়া থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর গেণ্ডারিয়া থানার এসআই রাশেদুল আলম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।