More

    চারঘাট ও মহেশপুরে বিএনপি প্রার্থীদের ভোট বর্জন

    অবশ্যই পরুন

    রাজশাহীর চারঘাট ও ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভায় ভোটে অনিয়মের প্রতিবাদে বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
    চারঘাট পৌর নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রের পাশে হাতবোমা বিস্ফোরণের পর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় পৌর এলাকার মিয়পুর মহল্লায় নিজের বাড়িতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
    পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিকুল বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে আমার সামনেই হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কোনও কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট থাকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। বার বার অভিযোগ করেও কোনও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন সহযোগিতা না করার কারণে আমি মনে করি, ভোটে আমার থাকা উচিত নয়।’
    এর আগে বেলা ১১টার দিকে সারদা থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
    ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল হক এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ওই ভোটকেন্দ্রেই ছিলেন। তারা টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন। তখনই সামান্য দূরে ভোটারদের সারির পেছনে হাতবোমা দুটি নিক্ষেপ করা হয়।
    দুটি হাতবোমার একটি বিস্ফোরিত হয় এবং অন্যটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অবিস্ফোরিত হাতবোমাটি উদ্ধার করে। এরপর সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। হাতবোমার বিস্ফোরণের সময় অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান।
    বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। বিএনপি প্রার্থী কেন নির্বাচন বর্জন করছেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন।
    পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে রাজশাহীর দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। চারঘাট ছাড়া অন্যটি হলো জেলার দুর্গাপুর পৌরসভা। দুর্গাপুরের একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে। এ দিন জেলার পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ভোট বর্জন, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও প্রসাশনের সহযোগিতায় জোর করে ভোট নেওয়াসহ নানা অভিযোগের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত এ পৌরসভা দু’টির ভোট গ্রহণ করা হয় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে।

    জেলার মহেশপুর পৌরসভায় কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও প্রসাশনের সহযোগিতায় জোর করে ভোট নেওয়াসহ নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিনএপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খাঁন চুন্নু। দুপুরর ২টার দিকে তিনি শহরের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। মহেশপুর পৌর এলাকার কিছু কেন্দ্রে ধানের শীষের ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পর জোর করে ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
    ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাচীনতম এ পৌরসভায় চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর তিন জন হলেন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের তাহাবুর রহমান খান এবং নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা কিরণ।

    অন্যদিকে, সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেদে সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ইসলাম নামে এক যুবক আহত হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
    এদিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মাহবুবার রহমান অভিযোগ করেন, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সমর্থকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
    এখানে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নৌকার প্রতীকে আশরাফুল আলম আশরাফ, বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী মাহবুবার রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার নুরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের এনামুল হক ইমান।

    এছাড়া সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধির মোবাইল কেড়ে নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিরি সিও কামরুল আহসানের বিরুদ্ধে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বিএম কলেজে অবহেলায় ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

    বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার...