বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ অভিযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে মানহানিকর প্রচারনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শোলক ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিপক্ষমহল আওয়ামীলীগের নমিনেশন প্রত্যাশি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হালিম ডাক্তারসহ একাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি কপি বিভিন্ন মহলে দাখিল করেন যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের পিতা মরহুম আঃ সোমেদ কাজী একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি ১৯৫৪ সাল থেকে আওয়ামীলী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং দক্ষিণ বঙ্গের জনপ্রিয় কৃষকনেতা মরহুম আঃ রব সেরনিয়াবতের অন্যতম রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে পিস কমিটিতে যোগ না দেওয়ায় পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
তার ছেলে অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতি পরিবারের লোক হিসেবে পরিচিত।
শোলক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার নমিনেশন প্রত্যাশী মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু ফকির জানান, চেয়ারম্যান সাহেবের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের কাগজ আমি পেয়েছি।
সেখানে অভিযোগকারীদের নামের সাথে আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন কমিটির পোষ্ট পজিশন ব্যবহার করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
আমাদের ইউনিয়নে বর্তমানে আওয়ামীলীগের কোন কমিটি নেই এবং ১নং অভিযোগকারী আঃ হালিম ডাক্তার তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার নমিনেশন প্রার্থী।
তাই প্রতিহিংসামূলক ভাবে এই ধরণের অভিযোগ করেন। উল্লিখিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরো জানান, ২০০১ সনে জাতীয় নির্বাচনে উজিরপুর-বাবুগঞ্জের নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলেন বর্তমান বরিশাল জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
ওই নির্বাচনে হালিম ডাক্তারসহ অভিযোগকারী অনেকেই নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে গোলাম ফারুক অভি’র নির্বাচন করেন। যে নির্বাচনে নৌকাকে হারিয়ে গোলাম ফারুক অভি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনে হালিম ডাক্তারের ভোট সেন্টার কাংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার শোচনীয় পরাজয় ঘটে। বর্তমান তার আপন ভাগ্নে সাইফ আহমেদ জুয়েল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
তার পরিবার জামাত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষক। অভিযোগকারীদের নামের তালিকায় উজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকতের নাম থাকলেও তিনি জানান এই ধরণের কোন অভিযোগপত্রে আমি স্বাক্ষর করিনি।
এই বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, নির্বাচন আসলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এরকম অনেক অভিযোগ আসে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিপক্ষ নানা ধরণের মিথ্যে কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। মূলত তারা আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এ ধরণের কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।
তবে আমি আওয়ামী পরিবারের লোক। দল যাকে নমিনেশন দেবে আমি মেনে নেব। আমাকে নমিনেশন না দিয়ে অন্য কাউকে দিলেও আমি নৌকার পক্ষে কাজ করব।