‘এ অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসা ঠিক হবে না। আমরা সবাই পড়ালেখা করছি। তোমারও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে, তারপর সমাজেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হবে। ‘ একথাগুলো বলছিলো, বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্সের (এনসিটিএফ) উপজেলা শাখার সভাপতি তানজিলা জামান শিফা ও সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম মুন্নাসহ শিশু সদস্যরা। গতকাল বিকেলে (১৪ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর করুণা গ্রামের মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে।জানা গেছে, ওই শিশুরা প্রথমে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফলগুলো তুলে ধরে। কিন্তু মেয়ের বাবা ও তাঁর স্বজনরা শিশুদের ধমক দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হস্তক্ষেপেই সন্ধ্যার পরে এগিয়ে আসেন উপজেলা প্রশাসন, এনসিটিএফ এর জেলা সভাপতিতে বিষয়টি জানায়। রবিবার সন্ধ্যার পর থানা পুলিশ, তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন বেসরকারি সামাজিক সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মেয়ের বাবার বাড়িতে যায়। জন্মসনদ অনুসারে বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেনের জিম্মায় ছেলে মেয়ের পরিবার পূর্ণ বয়স্ক বিয়ে না করানো অঙ্গীকার করেন।
উত্তর করুণা গ্রামের বাসিন্দা মো. আঃ ছোবাহানের মেয়ে ও দক্ষিন বেতাগী নাদেরিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. শান্তা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মো. দুলাল সিকদারে ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক মো. তানভির হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। মেয়ে মোসা. শান্তা আক্তরের স্বজনরা চড়াও হয়ে বিয়ে বন্ধ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে বেতাগী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহায়তায় বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার (১৫ মার্চ) বিয়ের দিন ধার্য ছিল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা জান্নাতুল রিফাদ, বেতাগী প্রেসসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মো. শামীম সিকদার, দপ্তর সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর -কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রোমোটর অলি আহমেদ, বেতাগী থানার এসআই করুণ বিশ্বাস ও ধ্রুবতারা বরগুনা জেলা শাখার সহ- সভাপতি মিঠুন দে।