More

    ৪টি কুমড়ার দাম ১৫ হাজার টাকা!

    অবশ্যই পরুন

    ৫ বছর আগে ভারত থেকে আনা কুমড়ার বীজ বদলে দিয়েছে ভাগ্য। এ দাবি করেছেন বরগুনা জেলা সদরের কৃষক আফজাল হোসেন। আর কুমড়ার ভালো মূল্য পেতে বরগুনা থেকে তিনি ছুটে এসেছেন বিভাগীয় শহর বরিশাল নগরীতে। এখন নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসে তিনি সেসব কুমড়া বিক্রি করছেন। কুমড়ার সাইজ এতো বড় যিনি দেখছেন তিনিই থমকে যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে ২ থেকে ৫ কেজি করে কিনে নিচ্ছেন। কুমড়ার বিক্রির পাশাপাশি বীজও পৃথকভাবে বিক্রি করছেন আফজাল।সোমবার নগর ভবন এলাকা থেকে শুরু করে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রূপাতলীসহ বিভিন্ন স্থানে বসে ২০ টাকা কেজি দরে কুমড়া বিক্রি করেন আফজাল হোসেন। তার কাছে ১১০ কেজি ওজন থেকে শুরু করে ১০৫ কেজি এবং ৯৬ ও ৭৫ কেজি ওজনের ৪টি কুমড়া রয়েছে। বরিশালে ভালো দাম পাওয়ায় এবং চাহিদা থাকায় আরও বেশি সংখ্যক কুমড়া নিয়ে আসার কথা জানালেন তিনি। তার টার্গেট ওই ৪টি কুমড়া বীজসহ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার।কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, বাবার কাছ থেকে কৃষিকাজের হাতেখড়ি। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরনের কৃষিক্ষেত করে যাচ্ছেন। কৃষিকাজ এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। বিদেশ থেকে মানুষ এটা সেটা কতকিছু কিনে আনে, তিনি এনেছিলেন কুমড়ার বিচি।

    আফজাল বলেন, ‘ভারত গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন বীজ ভাণ্ডারে যাই। সেখান থেকে আমাকে এ কুমড়ার বীজ দিয়ে জানানো হয় এ কুমড়া আমাদের দেশের মাটিতে ভালো ফলন দেবে এবং একেকটি কুমড়া সর্বোচ্চ ৩ মণের ওপরে হবে। জানি না তারা সত্য বলেছিল নাকি উপহাস করেছিল তবে আমি তাদের কথা বিশ্বাস করেছিলাম।’আফজাল হোসেন বলেন, ‘সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে দেশে আসি। কিন্তু বিগত বছর সেভাবে ফলন পাইনি। কিছু কুমড়া বড় হলেও তার সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে আশায় ছিলাম। সে আশা এবা পূরণ হয়েচে। এ বছর দেড় শতাধিক কুমড়ার সাইজ হয়েছে বিশাল বিশাল। ১১০ কেজি থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫০ কেজি ওজনের কুমড়া পেয়েছি। এ জন্য আমাকে টানা আড়াই মাস ক্ষেতে কাজ করতে হয়েছে। আর কাজ করায় তার ফলও পেয়েছি।’

    তিনি আরও জানান, বিশাল বিশাল সাইজের কুমড়া হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসে ওই কুমড়া দেখতে। তাদের মধ্যে যারা ভালো মূল্য দিতে আগ্রহী শুধু তাদের কাছেই কিছু কুমড়া বিক্রি করেছি। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে জানতে পারি বরিশাল নগরীতে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এ কারণে রবিবার বড় বড় সাইজের ৪টি কুমড়া নিয়ে এসেছি। এরপর বিভিন্ন স্থানে বসে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কুমড়া বিক্রি করছি। কিন্তু তার সাথে থাকা বীজ বিক্রি করছি পৃথকভাবে। তবে যারা কেজি দরে কুমড়া কিনছেন তাদের আবদারে কিছু বীজ ফ্রি দেওয়া হয়েছে।

    তবে আরও কিছুদিন মাঠে রাখতে পারলে এর ওজন আরও বাড়তো বলেন তিনি। আরও বলেন, ‘কুমড়ার চামড়া একেবারে পাতলা। আর ভেতরের অংশটি মোটা। কাঁচা অবস্থাতেই মুখে দিয়ে ক্রেতারা মিষ্টি আছে বলে জানিয়েছেন। রান্না করলে আরও স্বাদ হয়। তবে বছরে একবারই এ ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির সময় ফলন হবে তবে ওজন কমে যায়।’

    এ ব্যাপারে বরগুনা কৃষি দফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল অদুদ বলেন, বরগুনা সদরে একজন কৃষক এ ধরনের কৃষি কাজ করেন। তবে ওই কুমড়ার বীজ তিনি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন। কৃষক আফজাল নিজেও জানেন না ওই কুমড়া কোন জাতের।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...