বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কারুনের ছেলে মোঃ রিয়াশাদ জামান কাইফ সহ তার দুই বন্ধুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এ.কে স্কুলের মাঠে বসে নেশাগ্রস্থ ইয়াবা সেবনকারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মোঃ রেদোয়ান, মারুফ খান, রাজিব খান, কিশোর গ্যাং সদস্য আঃ রহমান, মোঃ রাহাত সহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ ছয়জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার মামলায় আসামী কিশোর গ্যাং সদস্য আঃ রহমানকে মামলার তদন্তকারী এস,আই শাহজালাল সহ একদল পুলিশ বাজাররোডের এলাহী ক্লোথ বিল্ডিংয়ে বেড় দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার ঘটনায় ও রিয়াশাদ জামান কাইফকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার করা চেষ্টা থেকে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং সদস্যদের পিতা ব্যবসায়ী খলিলুর হমান নিজের বসত ঘড়ের মালামাল নাটকিয়ভাবে তচনছ করে নগরের নয় নং ওয়ার্ড সনামধন্য কাউন্সিলর হারুন অর রসিদ, কাইফের পিতা কামরুজ্জামান সহ বেশ কয়েকজনকে জড়িয়ে দিনের বেলায় বাজার রোডের মত স্থানে দলবল নিয়ে এলাহী ক্লোথ ভবনে প্রবেশ করে খলিলুর রহমানের স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীকে মারধর করা সহ নগদ ৭লক্ষ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুঠপাট করে নিয়ে আসার ঘটনা সাজিয়ে একটি মামলা করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন সদ্য আংশিক সুস্থ হয়ে আসা কাইফের পিতা কামরুজ্জামান (কারুন)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মার্চ আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে বাসার নিকটে এ.কে স্কুলের মাঠে প্রতিদিনের ন্যায় কাইফ ও তার দুই বন্ধু ঘুরতে যায়। এসময় বাজার রোডের বাসিন্দা খলিলুর রহমানের সন্ত্রাসী ছেলেরা বিগতদিনে বিএনপি’র ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে বর্তমানে নিজেদের শরীরের খয়িস পাল্টিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার আর্শিবাদ পুষ্ট হয়ে প্রায় এ.কে স্কুলের মাঠে বসে গাঁজা, ইয়াবা সেবন করে মাঠের পরিবেশ ধ্বংস করার কাজে মেতে উঠে।
এঘটনা দেখে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে এখানে বসে নেসার আসর না বসাবার জন্য নিষেধ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২ মে কাইফকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়।
এঘটনা দেখে সাথে থাকা বন্ধু ইমু সহ আরেক বন্ধু তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এঘটনার পরপরই আহতদের শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেন।
ওইদিনই আহত কাইফের চাচা মোঃ শহিদ আহমেদ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় নামধরা ৫জন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৬জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ে করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথমে রাজিব ও পরবর্তীতে পালিয়ে থাকা গত শুক্রবার বাজাররোডের বাসা থেকে কিশোর গ্যাং সদস্য আঃ রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক আঃ রহমানকে যশোর কিশোর শোধনাগারে প্রেরন করার পর পরই উক্ত গ্যাং সদস্যদের পিতা ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমান মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কাউন্সিলর হারুন অর রসিদ, কাইফের পিতা কামরুজ্জামান কারন সহ বেশ কয়েকজনকে জড়িয়ে বাসায় হামলার প্রতরনামূলক অভিযোগ থানায় নিয়ে থানা পুলিশ ঘটনা প্রামানিত না হওয়ায় তাদের ফিরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রসিদ বলেন, বর্তমান সময়ে প্রকাশ্য দিনের বেলায় বাজাররোডের মত জায়গায় একটি ভবনে প্রবেশ করে আমার একজন পরিচিত জনপ্রতিনিধির পক্ষে কারো বাসায় হামলা চালিয়ে টাকা ও সোনা লুটপাট করা সম্ভব কিনা!
এজন্য দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষ সদস্যরা রয়েছে আমি নিজেও চাই এই অভিযোগ তারা সুষ্ঠ তদন্ত করে দেখুক এলাহী ক্লোথ ভবনে এমন কিছু হয়েছে কিনা।
তাছাড়া উক্ত এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা রয়েছে তারাও এবিষয়ে এ ঘটনা তাদের চোখেও পড়ার কথা।
তিনি আরো বলেন, আজ যারা এই অভিযোগ করছেন তারা আমার মেজ ভাই কামরুজ্জামান কারনের ছেলে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করা মামলার আসামী তাই তারা হয়ত সেই মামলাটি ভিন্নখাতে নিয়ে যাবার জন্য একটি চক্রান্ত ও সাজানো মামলা করার চেষ্টা করছে বলে আমার মনে হয়।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই জালাল বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ২জন আসামীকে আটক করেছি। আদালত কিশোর গ্যাং সদস্য আঃ রহমানকে যশোর সেইফ কাষ্টরিতে প্রেরন করেছে। অপর আর এক আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে।
আমরা অপর আসামীদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা কেহ বরিশালে না থাকার কারনে একটু সময় নিতে হচ্ছে। আসামীদের পুলিশের হাতে আসতেই হবে।