বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে কুয়াশা ও কনকনে তীব্র শীতে জেঁকে বসেছে জনপদ। মঙ্গলবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এই জনপদে জেঁকে বসছে শৈত্য প্রবাহ। তীব্র শীতের মধ্যে তিন দিন ধরে আকাশে সূর্য্যরে দেখা মেলেনি। আরও দুই-তিন দিন আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়েছে
বরিশালের আবহাওয়া অফিস।
মাঠে কৃষক বীজ রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করলেও শীতের কারণে শ্রমিকরা বীজ ধান রোপন করতে পারছে না। শীতের কারণে ছিন্নমুল পরিবার ও খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবার সদস্যরা শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে ভীড় করছেন সড়কের পাশের গরম পোশাকের দোকানগুলোতে। শীতের কারণে লেপ-তোষক বানাতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা। গার্মেন্টস দোকান থেকে ফুটপাতের গরম পোশাকের দোকানগুলোতে এখন শীতের দাপটে বেচা কেনার ধুম পরেছে।
সাজানো দোকানের চেয়ে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম পোশাকের দাম তুলনামুলক কম হওয়ায় ফুটপাতের দোকানে পুরানো কাপড় কিনতে পেরে খুশি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রমজীবি পরিবারের লোকজন। ক্রয়-বিক্রির কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা শহরের দোকান খুলে বসছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন হাট
বাজারেও পুরোনো শীতবস্ত্র বেচাকেনার বাজার বেশ জমে উঠেছে। বড় দোকানের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে।
বাশাইল বাজারের মামুন বেডিং ষ্টোরের মালিক মামুন সরদার জানান, শীতের মৌসুম শুরুর কারণে লেপ-তোষক তৈরী ও বিক্রি আগের
চেয়ে বেড়েছে অনেক। বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে লেপ-তোষক তৈরি কারিকরদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেশী দেখা গেছে।
বরিশার নিউজ/স্ব/খ