বিশেষ সাক্ষাৎকার : ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তার পরিচালনায় স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘এবং ছাদ’ প্রদর্শিত হয়েছে এ উৎসবে। পরিচালক হিসেবে নতুন যাত্রা তার। উৎসব ও বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এই অভিনেত্রী।
বেশ ভালো। আমার এই ছবিটা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেয়নি। কিন্তু এ দেশের উৎসব কমিটি খুব আগ্রহ নিয়ে গ্রহণ করে সেটা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে। আমি খুবই আনন্দিত। এ দেশের দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। এই উৎসবে দেখাতে পারা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। তবে কলকাতার দর্শকদের সঙ্গে দেখতে পারলে আরও ভালো লাগত।
আসলে একজন মানুষের তো অনেক কিছু করার আছে। একজন মানুষের জীবনও খুব অল্প সময়ের। আমরা অনেক কিছু দেখি, ভাবি। তো আমার চোখ দিয়ে আরও পাঁচজনকে দেখাতে পারি, তাহলে সেটা তো মন্দ নয়। আমি একটা সময় প্রচুর সিনেমায় অভিনয় করেছি, সিরিয়াল করেছি। নানা কারণে সেগুলো এখন আর করা হয় না। একটা সময় আমি দেখেছি আমাকে আর কাজ দেয়া হচ্ছে না। একটা গোষ্ঠীর রোষানলে পড়েছি। তাদের সঙ্গে না মেলার কারণে আমি কাজ পাইনি। এর ফলে আমার কাছে অখণ্ড অবসর ছিল। এ সময়ে আমি প্রচুর সিনেমা দেখেছি, বই পড়েছি। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে আমার অন্য একটা দিক এক্সপ্লোর করার আছে। এ কারণেই নির্মাণে আসা। আমি ছোট্ট একটা ইউনিট নিয়ে কাজটা করেছি। এটা অনেকটা নিজের কাছে নিজের পরীক্ষা দেয়ার মতো।
হ্যাঁ, আমার পূর্বপুরুষের বসত ছিল মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামে। দেশভাগের সময় ভারতে পাড়ি দেন সবাই। আমার জন্ম ভারতে। কিন্তু বাবার মুখে ঘটমাঝি গ্রামের গল্প শুনে বেড়ে উঠেছি। তাই বাংলাদেশের ওপর সব সময় আলাদা টান রয়েছে। ২০১৭ সালের দিকে বাবা সন্তোষ মিত্রকে নিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটার খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিলাম। তার কয়েক বছর পর বাবার মৃত্যু হয়। আমি বাবাকে খুব মিস করছি। এখানে সবাই খুব ভালোবাসা দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদ পোর্টালগুলোর প্রতি অনুরোধ আছে একটা।
কী সেটা? আমি মাঝেমধ্যেই দেখি আমাকে নিয়ে চটকদার সংবাদ পরিবেশন করা হয়। কলকাতায় আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে সাইবার ইউনিটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে জানিয়েছে, এগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত। তাই বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদ পোর্টালগুলোর প্রতি অনুরোধ এমন কোনো সংবাদ যেন পরিবেশন করা না হয়। প্রয়োজনে আমার সঙ্গে কথা বলে যেন সঠিকটা প্রকাশ করা হয়।
আপনাকে এখন অভিনয়ে কম দেখা যায়? ওই যে বললাম একটা গোষ্ঠীর রোষানলে পড়েছি। এ কারণে কম দেখেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে একটা সিনেমার শুটিং হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর আরও কয়েকটি কাজ হতে পারে।
এ দেশের অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় দেখেন নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, সেটা তো দেখা হয়ই। একসঙ্গে তো অভিনয় করিও। ফেরদৌসসহ অনেকের সঙ্গে তো কাজ করেছি। আর এখন ওটিটির কল্যাণে অনেক কাজ তো দেখা হয়। নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজও হবে।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ