More

    ফের হামলা, প্রতিপক্ষের রুম দখল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে

    অবশ্যই পরুন

    জেষ্ঠ প্রতিবেদক: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফের হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। দখল হয়েছে প্রতিপক্ষের ছাত্রদের কক্ষ। বুধবার গভীর রাতে পূর্ব হামলার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।  ক্যাম্পাসের ছাত্রলীঘ নেতা সিফাত সমর্থকরা বিরোধীমত অনুসারীদের রুমে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর ও সিট দখলের অভিযোগ উঠেছে৷  বুধবার দিনগত গভীর রাতে তাহমিদ জামান নাভিদ ও শরিফুল ইসলাম নিলয়ের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের দুটি দল এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের না পেয়ে বই, কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে একটি রুম দখলে নিয়েছে, আরেকটি রুমও দুই একদিনের মধ্যে দখলের আশংকা করেছেন ভূক্তভোগী। এই ঘটনার পর হলের সাড়ে পাঁচশ সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে৷
    এর আগে মঙ্গলবার ভোরে ববির গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা দাবি করা মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে শের ই বাংলা হলে ঢুকে কুপিয়ে জখমের পর এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তুহিন আরেক ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার রিয়াজ উদ্দিন ও আশরাফুল ইসলাম দিপ হচ্ছেন জিসান আহমেদের অনুসারী।
    ভূক্তভোগী আবাসিক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তুহিন জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে ৭ম-৮ম ব্যাচের নাভিদের নেতৃত্বে আল সামাদ শান্ত, রুম্মানসহ ১৫-২০ জন আমার ৫০১০ নম্বর রুমে হামলা চালায়। এসময় আমি নিজবাড়ি উজিরপুরে ছিলাম। তাই আমাকে না পেয়ে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার শেষে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স জিনিস ও লাগেজ ভাংচুর করা হয়। এসময় বই খাতা হলের বাইরে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে বুধবার আমার সিটে ১০ম ব্যাচের দুইজন শিক্ষার্থী উঠিয়েছেন সিফাত অনুসারীরা। রিয়াজ উদ্দিনের বন্ধু হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
    আরেক ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম দিপ জানান, আমার ব্যবহৃত ৩০১২ রুমে বুধবার দিনগত রাতে নিলয়, খালিদ রুমি, নাওয়ার, তমালসহ ১৫-২০ জন রুমে প্রবেশ করে। এসময় আমাকে না পেয়ে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে জিনিসপত্র তছনছ করে। শুনেছি দু’এক দিনের মধ্যেই নাকি আমার রুমে জুনিয়রদের উঠানো হবে। ফলে আমার রুম হারানোর শংকায় রয়েছি। এবিষয়ে প্রক্টর ও হলের প্রভোস্টকে জানানো হয়েছে।
    অভিযুক্ত নাভিদ বলেন, আমাদের নেতা সিফাত আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমরা নিজেরাই নিরাপদ না। এই অভিযোগ মিথ্যা।
    অভিযুক্ত নিলয় জানান, ওই রুমের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম দিপ আমাদের নেতা সিফাতের ওপর হামলার নেপথ্যে কাজ করেছে। সে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গোয়েন্দার কাজ করতো। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন রুমে গিয়ে জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়েছে।
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া জানান, বিষয়টি ভূক্তভোগীরা জানিয়েছে। আমি হলের রুমগুলো পরিদর্শন করবো। তদন্ত শেষে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
    ববির প্রক্টর খোরশেদ আলম জানান, ভূক্তভোগী এক শিক্ষার্থী ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে। এটা যারা করেছে তাদের সনাক্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি ইতিমধ্যে হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...