অনলাইন ডেস্ক: জামাই থাকতেন শ্বশুর বাড়িতে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন।
শ্বশুর কাজের কারণে প্রায়ই থাকেন বাড়ির বাইরে। এ কারনে শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়ে জামাইর। ফলে ভালোবাসা দিবসে অর্থাৎ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। এতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার। এতে ভুক্তভোগী শ্বশুর মামলা করেছেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার এ ঘটনায় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী ও মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে করেন শ্বশুর।
বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার বাদী ও অভিযুক্ত সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির বড় মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত জামাইয়ের বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। শ্বশুর কাজের সুবাদে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে সবার অগোচরে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান জামাই। একপর্যায়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় শ্বশুর ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলেন। ঢাকা থেকে ফিরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তার স্ত্রী জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ের পর জামাই আমাদের বাড়িতেই বসবাস করত। তাদের আট মাসের একটি কন্যাশিশু আছে। আমি মাসে ২০ থেকে ২৫ দিন কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময় পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় জামাই। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের খোঁজ না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’