২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার পিলখানা হত্যার তের বছর পালিত। ২০০৯ সালে বিদ্রোহের নামে রাজধানীর পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে হত্যা করা হয়। যাদের মধ্যে আগৈলঝাড়ার দুই কৃতী সন্তান বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত কর্ণেল এবিএম জাহিদ হোসেন চপল ও মেজর কাজী আশরাফ এর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার চাঁদত্রিশিরা ও বেলুহার গ্রামের তাদের বাড়িতে গতকাল শনিবার দিনব্যাপী কোরআন খতম, কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্ণেল জাহিদ ও আশরাফের আপনজনের সাথে আগৈলঝাড়ার জনসাধারন তথা দেশবাসী তাদের স্মরণ করছে। চপলের স্ত্রী ছন্দা, ছেলে নিলয় ও নির্ঝর দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মিলাদের আয়োজন করেন। তার ভাই আব্দুর রব বখতিয়ার জানান, নিজস্ব অর্থায়নে কর্ণেল জাহিদ হোসেন নুরানী হাফেজী মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এতিমখানাটিতে বর্তমানে ২৫ জন এতিম শিশু রয়েছে। কর্ণেল জাহিদের মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অন্যদিকে পিলখানা ট্রাজেডির ৬ দিন পর উদ্ধার হওয়া আগৈলঝাড়ার আর এক কৃতী সন্তান মেজর কাজী আশরাফ এর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ি বেলুহার গ্রামে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেন।