More

    বরিশালে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নিপীড়ন , স্বামী-স্ত্রী আটক

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল নগরে এক কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।

    নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি থেকে দুই কিশোরী যৌনকর্মী ও দুই খদ্দেরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল নগরের আগরপুর রোডের হাবিব ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আসামিরা হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার হুলাটানা এলাকার মৃত মুসলিম হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম (৫৫) ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০)। তবে, পুলিশ গ্রাহকদের নাম প্রকাশ করেনি, যার মধ্যে ১১ এবং ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোরী এবং ৩৪ বছর বয়সী একজন যৌনকর্মী রয়েছে।

    কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানউল্লাহ আল বারী জানান, আটক দম্পতির বিরুদ্ধে মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করবেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। যৌনকর্মী এবং ক্লায়েন্টদের অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য বিচার করা হবে।

    নির্যাতনের শিকার নারীরা সাংবাদিকদের জানান, একই এলাকার ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশী দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বরিশালে এক নারীকে ভালো চাকরি দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে।

    এমনকি ওই নারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি বাসে করে বরিশাল নগরের রূপাতলীতে আনা হয়। সেখানে আনার পর তাকে মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আটকে রাখা হয়। ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে আরও ৫/৬ জন মেয়েকে দেখেন।

    মেয়েটির অভিযোগ, কালাম ও তার স্ত্রী রহিমা তাদের জিম্মি করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন। কালাম না শুনলে মারধর ও ধর্ষণ করতেন। যৌন মিলনের সময় অমানবিক নির্যাতনও শাস্তি হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

    মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়েকে আটক, কাজ দেওয়ার জন্য ধর্ষণ ও মারধর করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে বহিরাগতদের সঙ্গে রাত কাটাতে হয়।

    মেয়েটি এসব কথা বললে থানায় অভিযোগ করব। মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি কোতয়ালী মডেল থানায় গেলে প্রশাসন মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং পুলিশ দ্রুত কালামের আস্তানা খুঁজে বের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

    কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই চক্রটিকে খুঁজে পেয়েছে।

    সন্ধ্যার অভিযানে দুই কিশোরীসহ বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানির এলসি খোলায় 

    বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তুলে নেওয়া হচ্ছে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ন্যূনতম দর...