জমি সংক্রান্ত বিরোধ এর জের ধরে খান সাহাবুদ্দিন আহমেদ নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছেলে সাকিন আহম্মেদ ।
আাজ ১২ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল প্রেসক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, তার স্ত্রী সাহনাজ বেগমের স্বশরীরে উপস্থিতে ছেলে সাকিন আহম্মেদ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
হামলার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা খান সসহাবুদ্দিন আহম্মেদ’র ছেলে খান সাকিন আহম্মেদ বলেন, গত ৩ মার্চ ইং তারিখে কাশিপুর মৌজায় গনপাড়া এলাকায় ৭নং ওয়ার্ডে রেকর্ডকৃত ভোগদখলীয় নিজ বাড়ীতে কৃষি কাজ ও মৎস চাষ করছিল। দুপুর ১.১০ টার দিকে স্থানীয় মোখলেচুর রহমান ও অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের জমিতে অবৈধভাবে গায়ের জোর খাটিয়ে প্রবেশ করে।
পূর্বের শত্রুতার জেরে মোখলেচুর রহমান আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদ’কে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এসে মটরসাইকেল দিয়ে তার গায়ে ধাক্কা দেয়ায় সে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়ায় আমার বাবা মাটিতে লুটিয়ে পরে।
তখন বিবাদী মোখলেছুর রহমান শওকত মটর সাইকেল থেকে নেমে এসে তার হাতে থাকা দা দিয়ে আমার পিতাকে লক্ষ করে কোপ দেয় এবং সেই কেপ তার চোখের কোর্নারে লাগিয়া বাকী অংশ গাছের সাথে লাগে। হামলায় আমার বৃদ্ধ বাবার চোখের কনিয়া গুরুত্বর আঘাত পায় এর পরে দাঁ এর আছারি দিয়ে মুখের উপর বারি দেয়। যার ফলে তার মুখের উপরের হাড্ডি ভেঙ্গে যায় এবং সে গুরুত্বর আঘাত পায়। যার রিপোর্ট সিটি স্থানে আসছে। এর পরে আমার বৃদ্ধি বাবার মাথা, ঘাড়, হাত, পা ও পিঠ সহ সাড়া শরীরে গুরুত্বর জখম করিতে থাকে। অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন সহ সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা দেশীও অস্ত্রসহ পাঠি সোটা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে এলোপাথারি পিটাতে থাকে যার ফলে সে গুরুত্বর আঘাত পায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পরে। এরপরে তার সাদা দাড়ি টেনে হেছরে রক্তাক্ত করে দেয়। তার মুখে থাকা অনেক গুলো দাড়ি ছিরে যায়। শরীর সুন্নত দাড়ি ধরে টানা টানির সময় আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সাহাবুদ্দিন আহমেদ ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে প্রানে রক্ষা করে।
লোকজন এসে পরায় মোখলেচুর রহমান শওকত সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনা নিয়া থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে পরিবারের উপরে হামলা সহ হত্যা করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সাকিন আহম্মেদ বলেন হামলার বিষয়টি আমি মুঠফোনে জানতে পেরে ঘটনাস্থল আসি। এসে দেখি আমার পিতা আলহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সাহাবুদ্দিন আহাম্মেদ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে তিনি শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এ ঘটনায় গত ৭ই মার্চ বরিশাল সিমএম কোর্টে একটি মামলা হয়। মামলা নং-৬৮/২৩।
তিনি জানান, বিবাদী মোখলেছুর রহমান শওকত এর আগেও তাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। যাহার রিপোর্ট ছিল মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কিত অবস্থায় আছি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি মামলার বিবাদী মেডিকেল ও পুলিশ রিপোর্ট বদল করে হাই কোর্ট থেকে জামিন নেয়ার পায়তারা করছে।
ক্ষমতা ও টাকার জোরে যদি রিপোর্ট বদল হয়ে যায় তাহলে একটি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। আমারা হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দোষিদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠ বিচার চাই