More

    যে কারনে বাতিল হলো জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র

    অবশ্যই পরুন

    গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে  গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল  করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঋণ নেইনি, ঋণের জামিনদার হয়েছিলাম। তবুও একতরফাভাবে আমার রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আমি হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবো।
    জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ঋণ খেলাপি ছিলেন। আদালত তাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন। আমি ঋণ খেলাপি না হয়েও আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আপিল করবো, কিন্তু কতোটুকু ন্যায়বিচার পাবো তা বুঝতে পারছি না।
    গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হওয়া জাহাঙ্গীর আলম।
    নানা কারণে তিনি বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় অন্য কোনো প্রার্থীর লড়াইয়ে থাকার সম্ভাবনা কম। এ অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে কৌশলে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রার্থী হওয়ার পর জাহাঙ্গীর শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে থাকতে পারবেন কিনা এ নিয়ে। দুপুর পৌনে ১২টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিটের শুনানি শুরু হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির। জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ফিদা এম কামাল আদালতকে বলেন, জাহাঙ্গীর আগেই ঋণ পরিশোধ করেছেন। তখন আদালত বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে কী কী সমস্যা হতে পারে এটা সবাই জানেন। তাই তার আরও আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।পরে ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির আদেশের বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম যেদিন নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছেন সেদিনও তিনি ঋণখেলাপি ছিলেন। এ ছাড়া নমিনেশন ফরমের সঙ্গে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও জমা দিতে হয়, সেটিও তিনি দাখিল করেননি। আদালত এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীরের দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে সিন্ধান্ত দিয়েছেন তা বহাল থাকলো। আর এর ফলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না।
    অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী এম কে রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ খেলাপির (সিআইবি) অভিযোগে রিটানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। আমরা আদালতকে বলেছি, তিনি তো ঋণ নেননি। তাই তাকে খেলাপি বলা যায় না। তিনি  ছিলেন জামিনদার। আর দুইদিন পরে সিআইবি তালিকা স্থগিতও হয়। জাহাঙ্গীর যে ঋণ খেলাপি নন, তা প্রমান করতে রিটানিং অফিসারদের সামনে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরকেও হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে ফাইন্ডিংস এসেছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঋণ খেলাপের তালিকায় তার নাম ছিল।

    সূত্র: মানবজমিন

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    মঠবাড়িয়ায় মৌসুমি মামলার হিরিক বাড়ি ছাড়া ৬ সাংবাদিক নিন্দার ঝড়!

    মোঃ রোকনুজ্জামান শরীফ , মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাজনৈতিক মামলার হিরিকে রেহাই না পেয়ে বাড়ি ছেড়েছেন ছয় সাংবাদিক।ছয়জন সাংবাদিককে...