—————————————
প্রত্যেক দলের রাজনৈতিক নেতাদের কিছু ভক্ত থাকে আর সে ভক্ততা যদি দলের চেয়ে ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয় তা হলে দল দুর্বল হয় আর ব্যক্তির অহমিকা,দাম্ভিকতা বেড়ে যায়। এমন এক রাজনীতি আর সংগঠনের কথা নিয়েই লেখা।
জনাব জহির উদ্দিন স্বপন রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর থেকে নিজের করে কিছু অন্ধ ভক্ত তৈরি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।
সে মনে করেন কেহ যদি দলের অন্ধ ভক্ত হয় তাকে দিয়ে ব্যাক্তি চরিতার্থ যে কোন কাজ করানো যাবে না।
তার নিজের অন্ধ ভক্ত এবং গুনিরা দলের কাজ না করে নেতার প্রশংসায় অন্ধ বনে জি হুজুর,জাহাপনার পথ ধরে চলেন।
গৌরনদী আগৈলঝাড়া আওয়ামীলীগের হাসানাত আব্দুল্লাহকে রাজনীতিবিদ না বলে অনেকে বৈজ্ঞানিক বলেন। কারন তিনি গৌরনদী পৌর মেয়রের মত একজন আনুগত ভক্ত আবিস্কার করতে পেরেছেন, আর তার বদৌলতে গৌরনদী আগৈলঝাড়া তার রাম রাজত্বে পরিনত হয়েছে।
তাই তারও একজন মেয়র প্রয়োজন আর সে ক্ষেত্রে হয়ত বৈজ্ঞানিকের ভুমিকায় জনাব জহির উদ্দিন স্বপন।
এই ক্ষেএে তার আনুগত ভক্ত দ্বারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করবেনা,ব্যবহার করবেন যারা বিএনপির প্রতি অনুগত ।
জহির উদ্দিন স্বপন এর দলে প্রবেশ ১৯৯৩ সালে। দলে প্রবেশের পর তার কার্য্যক্রম যেমন ইতিবাচক ছিল তার চেয়ে নেতিবাচক কম ছিল না।
দলে প্রবেশটা ছিল সু-স্বাগতম আর সংস্কার করতে গিয়ে বহিষ্কারটা ছিল অপমানের। সন্মান, অপমান এটা বর্তমান রাজনীতির সংস্কৃতি তাই এটাকে উপেক্ষা করার সুযোগো নেই।
দীর্ঘ্য দশ বছর অপমানের গ্লানি বইতে গিয়ে ২০০৮ এর নির্বাচনে ২০৩ ভোট পেয়ে জামানত বাতিলের মত অপমান আর জনবিচ্ছিন্নতার অভিজ্ঞতা নিয়ে নুতন লবিং এর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় আবার দলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ সুযোগ পেলেও মিডিয়া সেল নামে বিএনপিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে এই দুর্ধর্ষ নেতা সকলের মাঝে স্থান করে নেয়ায় মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তার এই চেষ্টা পরিশ্রমকে সফলতার মুখ দেখাতে চাইলেও স্থানীয় রাজনীতিতে দশ বছরের শুন্যতা তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তার দশ বছরের শুন্যতা এবং দল থেকে বের হওয়া জিয়া পরিবারের সাথে ষড়যন্ত্র স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, হাই কমান্ডে মিডিয়া সেলের মাধ্যমে স্থান করে নিতে পারলেও ভোটের রাজনীতিতে অনেক পিছিয়ে আছেন এই জনাব জহির উদ্দিন স্বপন । আর তাই মাঠ দখলে নিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। কিন্তু যত কৌশলই অবলম্বন করেন তাতেই তার রাজনীতিতে দলীয় স্থানীয় কোন্দল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাঠের রাজনীতিতে কাউকে বিবেচনায় না নেয়াই তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে বলে সকলে মনে করেন।
জহির উদ্দিন স্বপন সংস্কার পন্থি হওয়ায় দশ বছর দলের বাহিরে থাকায় জনাব ইঞ্জিনিয়র আবদুস ছোবাহান, কুদ্দুস আকন এবং এডভোকেট সজল দলের সাংগঠনিক কার্য্যক্রম পরিচালনা সহ তৃর্নমুলের খোজ খবর রাখেন এবং মাঠের রাজনীতি অনেকটা তিন ভাগে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। সে ক্ষেত্রে জহির উদ্দিন স্বপন এর আগমন তিনজনই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। মাঠের রাজনীতিতে এই চার জনের ভাগাভাগিতে তৃর্নমুল ভীষন বিপাকে।
এই বরিশাল নির্বাচনি এক আসন গৌরনদী -আগৈলঝাড়ায় দীর্ঘ্যদিন আওমিলীগের এম,পি জনাব হাসানাত আব্দুল্লাহ থাকায় বিএনপির রাজনীতি কর্ম কান্ডত দুরের কথা তারা এমনিতেই এলাকা ছাড়া আন্য দিকে বিএনপির চতুর্মুখী বিভাজন সংগঠনকে ভীষন দুর্বল করে রেখেছে। এমনিতেই সারা বাংলাদেশ সহ গৌরনদী আগৈলঝাড়া আওয়ামিলীগ এর নিয়মিত নির্যাতন জুলুম সে ক্ষেত্রে আবার বিএনপির দলিয় চতুর্মুখী গ্রুপিং সব মিলিয়ে এ অঞ্চল বিএনপির রাজনীতিতে পিছিয়ে।
জহির উদ্দিন স্বপন তার মেধা বুদ্ধি জ্ঞানে অনেক বড় কিন্তু মাঠের রাজনীতিতে আমলা চরিত্রের অধিকারী বলে সাধারন মহলের ধারনা। আমলাতান্ত্রিক নেতারা জনগন হারিয়ে ক্ষমতায় থাকতে প্রশাসনের উপর নির্ভর করতে হয় তাই তিনি তার ব্যাতিক্রম নয় বলে অনেকে মনে করেন।
তার নির্বাচনি এলাকা বরিশাল এক আসন সহ বরিশাল জেলা উত্তরে কমিটিতে হস্তক্ষেপ নিয়ে আছে জনগনের চাপা ক্ষোভ।
রাজনীতিতে দ্বিতীয়বার প্রবেশ করে প্রথমত বরিশাল জেলা উত্তরের কমিটি তার আনুগত্য লোকদের দিয়ে করেন। মিথ্যা ভুয়া ইনফরমেশন দিয়ে সদস্য সচীব পদটা তার লোক দিয়ে ভাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর পর থানা পৌরসভা কমিটি পুনর্গঠনে তার নির্বাচনি এলাকায় তার সংস্কার পন্থি লোক এবং জাতীয় পার্টির লোক দ্বারা তৈরি করেন। দীর্ঘ্য দিন মাঠে থাকা ত্যাগিরা জনাব স্বপন অনুসারী না হওয়ায় বাদ পরে।
বাদ পরা কর্মিদের দাবি এবং বিশেষ মহলের চাপে হাই কমান্ড তদন্ত কমিটি করে জনাব হাবিবুন্নবী সোহেলকে দায়িত্ব দিলে তিনি তদন্ত করে তার রিপোর্ট পেশ করেন। তদন্ত রিপোর্টের ফলাফল তৃর্নমুলে প্রকাশিত না হলেও তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই জনাব আবদুল আউয়াল মিন্টুকে বরিশাল বিভাগিয় দায়িত্ব দিয়ে তার মাধ্যমে নিরসন করার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশের বিএনপির রাজনীতিতে বিবাদমান ২৩ জেলা মহানগরের কমিটি পুনর্গঠন নির্দেশনার মধ্যে বরিশাল উত্তর মহানগর থাকলেও এ নিয়ে এই নেতা জনাব জহির উদ্দিন স্বপন আছেন বিপাকে। জনাব ইঞ্জিনিয়র ছোবাহান, জনাব আকন কুদ্দুস এবং জনাব সজল কোন ভাবেই তাকে মাঠের রাজনীতিতে যৌক্তিক দাবিতে ছাড় দিবে না এমন কথাই তৃর্নমুলে এখন আলোচনায়।
তৃর্নমুলের এক কর্মিকে এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান জনাব জহির উদ্দিন স্বপন নিজেকে জাতীয় নেতার পর্যায় মনে করেন আবার তার অনুসারীরা সামাজিক মাধ্যমে তাই প্রচার করে তা হলে বিতর্কিত জেলা কমিটির দ্বারা করা গৌরনদী আগৈলঝাড়া এবং পৌরসভার বিতর্কিত কমিটি নিয়ে পক্ষপাতিত্ব কিংবা জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টুর অফিসে এলাকা থেকে লোক জর করা তৃনমুল ভাল চোখে দেখে না।
ত্যাগিরা কমিটিতে স্থান না পেয়ে জেলা কমিটিতে আপত্তি জানিয়েছে সে ক্ষেত্রে তিন নেতা বাদ পরাদের পক্ষে অবস্থা নিলেও জনাব জহির উদ্দিন স্বপন বিতর্কিত জেলা কমিটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাকিদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া জাতীয় নেতার বেমানান বলেই মনে করেন। তিনি আরো বলেন জনাব জহির উদ্দিন স্বপন যদি জাতীয় নেতা হতেন কিংবা জ্ঞানি প্রজ্ঞাবান হতেন তা হলে তিনি জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টু সাহেবকে এই বিদ্ধমান কোন্দল দূর করায় সহযোগিতার ভুমিকায় থেকে নিজেকে অনেক উদার রাজনীতিবিদ প্রমান করতে পারতেন।
ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে সকল পলিসিই বাকি প্রতিপক্ষ তিনজনের কাছে তার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে।
আরেকজন তৃর্নমুলের স্থানিয় কর্মি বলেন কিছুদিন পুর্বে বাবু শুনিল গুপ্তের স্মরন সভায় সমস্ত আয়োজনে তার ভুমিকাকে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বাবু শুনিল গুপ্ত কে ন্যাপ থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপিতে এনে মন্ত্রী বানিয়েছে আর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টিতে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান এবং এরশাদ আমলে নয় বছরে সারা বাংলাদেশ সহ গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় এই গুপ্তেরা আধিপত্য বিস্তার যা ছিল স্মরনকালের ইতিহাস।
তিনি শুনিল বাবুর মৃত্যু আত্তার শান্তি কামনা করে বলেন যে মৃত্যু ব্যাক্তির স্মরন সভায় সকলে যেতে পারে।
কিন্তু বিএনপি আয়োজন করতে পারে না যেটা জনাব জহির উদ্দিন স্বপন সহ জনাব মুকুল খান ( সদস্য সচীব বরিশাল উত্তর) এবং জনাব ছরোয়ার আলম আহবায়ক গৌরনদী বিএনপি করেছে। তিনি বলেন গৌরনদীর রাজনীতি নিয়ে দুঃখ করি না কারন যারা বিএনপির অনুপ্রবেশকারি তারা এখন বিএনপির রাজনীতির সার্টিফিকেট দিবে সেটা আমাদের নিতে হবে এবং শুনতে হবে।
সব মিলিয়ে জনাব জহির উদ্দিন স্বপন যে সকল কৌশল নিতে চেষ্টা করুক না কেন এ অঞ্চলের মানুষ আর ২০০১ এর মত গ্রহন করবে না বলেই তৃর্নমুলের ধারনা,কারন তারা ২০০১-২০০৬ সালে এমপি বানিয়েছিল।