খান মনিরুজ্জামান:বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্ট কতৃক পরিবহনের শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে বিচারের দাবিতে ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সম্মুখে বরিশাল — ঢাকা মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মো:সুজন টিআর ট্রাভেলস্ ও ডলফিন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ। এঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ট্রাফিক সার্জেন্ট মো:মনিরুলের বিচারের দাবিতে বরিশাল —ঢাকা মহাসড়ক ২ ঘন্টা অবরোধ করেছিল। ফলে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা সহ—বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যাত্রীদের।
আহত শ্রমিক মো:সুজন অভিযোগ করেন, বরিশাল’র নথুল্লাবাদ স্টান্ডে ট্রাফিক পুলিশ র্যাকার এনে রংপার্কিং’র অভিযোগ এনে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় উৎকোচ নেয়। আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তার দ্বায়িত্বে থাকা ঢাকা গামী ডলফিন পরিবহন যাত্রী নিয়ে নথুল্লাবাদ বাস স্টান্ড অতিক্রম করতে ছিল।
সুজন দাবি করেন, ঈদ পরবর্তি ফিরতি যাত্রায় নথুল্লাবাদ এলাকায় যাত্রী ও পরিবহনের চাপ থাকায় সড়কে অনেকটা যানযট সৃষ্টি হয়। তাই তাদের পরিবহনটি কিছুটা ধীরগতিতে চলছিল। এমন সময় বিএমপি’র ট্রাফিক সার্জেন্ট মো:মনিরুল এসে গাড়ী রং পার্কিং’র অভিযোগ তোলে ও র্যাকার দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করেন। এর প্রতিবাদ করায় সার্জেন্ট মনিরুল সুজনকে মারধর করে। এতে সুজন গুরুতর আহত হয়েছে। এরপরই শ্রমিকরা সড়কে গাড়ি আড়াআড়ি করে রাখে ও ট্রাফিক সার্জেন্টের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে।
এর কিছুক্ষন পর খবর পেয়ে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো:আফতাব হোসেন ও বিএমপি’র উপ—পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিএম আশ্রাফ ঘটনাস্থলে এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
এবিষয়ে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো:আফতাব হোসেন বলেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতার ৩ গুণ পরিবহন আসছে। কিন্তুু বাড়েনি স্টান্ডের পরিধি। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে রাস্তার পাশে পার্কিং করে।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক পুলিশ স্টান্ডের কিছু দালালের সহযোগিতায় মামলা এবং র্যাকার’র ভয়—ভীতি দেখিয়ে শ্রমিকদের হয়রানি ও উৎকোচ আদায় করে আসছিল। এই হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ কমিশনার মহদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সড়ক অবরোধ ও ট্রাফিক সার্জেন্ট’র বিরুদ্ধে শ্রমিকদের আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমপি’র উপ—পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিএম আশ্রাফ বলেন, আমরা সিসি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি পর্যালোচনা করব। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।