মোঃ কাওছার হোসেন উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য, শ্রমিক লীগ নেতা ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সুত্রে জানা যায় উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা গ্রামের মৃত আঃ খালেক ফকিরের ছেলে মোঃ মান্নান ফকির (৫৫) কে বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টায় তার আপন ভাই স্বপন ফকির (৪০) ও তার স্ত্রী সাথী বেগম, শশুর মন্জু হাওলাদার মিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ডাকচিৎকার শুনে আহত মান্নান ফকির এর ছেলে এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ মাইদুল ইসলাম স্বাধীন(১৬) প্রতিবাদ করলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আহত মান্নান ফকির জানান, কিছু দিন পূর্বে এক ব্যাক্তি ভ্যানগাড়ী চালিয়ে আমার একটি গরুর বাছুরের উপর চাপা দেয়। এতে আমার পালিত বাছুরটি গুরুতর আহত হয়। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সুযোগ নিয়ে আমার ছোট ভাই মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়ী স্বপন ফকির ওই ভ্যানচালককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরে বসতঘরে ঢুকে প্রকাশ্যে স্বপন ফকির ও তার স্ত্রী, শশুর মিলে আমাকে ও আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বপন ফকির তার বৃদ্ধ মাকেও প্রায়ই মারধর করতো। এমনকি মাদক সেবন করে বেপরোয়া হয়ে নিজের বসতঘর ভাংচুর করে থাকে। সে এলাকায় মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন কুকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়নি, তবে প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ওই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আহত’র পরিবার। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।