More

    ”নগরবাসীর পাসে আমি ছিলাম আছি থাকবো” বিদায়বেলায় সাদিক আবদুল্লাহ

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) থেকে বিদায় নিলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার সময় নগর ভবন থেকে সব দায়িত্ব ১ নম্বর প্যানেল মেয়রের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়ে হেঁটে নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে যান তিনি।

    এসময় নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এর আগে সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানান।

    নগর ভবন থেকে বিদায় নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি বিদায় বলবো না, শেষ কর্মদিবস বলবো। জনগণের কাতারে আবার ফিরে যাচ্ছি, সবাই দোয়া করবেন। এ কর্মকালীন যদি কারও মনে ব্যথা দিয়ে থাকি, তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ যা করেছি সবকিছু এ নগর বাসির জন্য করেছি। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিস্বার্থ ছিল না। আমি ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাকে যে কোনো বিষয়ে ডাকলে আপনারা কাছে পাবেন।’

    আরও বলেন, ‘আমার কার্যকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছি। কারও কোনো বেতন-ভাতা বকেয়া রাখিনি। সবার সব বকেয়া ক্লিয়ার করে দিয়ে গেলাম। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য দোয়া করবেন। আমার শুভকামনা থাকবে সিটি করপোরেশনের প্রতি, যাতে নগরীকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট নগরীতে রূপান্তর করতে পারেন নতুন মেয়র।’

     

    পরে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ হেঁটে কালীবাড়ি রোডের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এসময় সাদিক অনুসারী নেতাকর্মীরা ‘সাদিক ভাই ভয় নাই, রাজ পথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পথে কালীবাড়ি রোডের সামনে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা জানায় সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।

    এদিকে সাদিক আবদুল্লাহর বিদায়ী সংবর্ধনা উপলক্ষে নগরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

    নগরীর বাসিন্দা সবুজ হাওলাদার বলেন, ‘সদর রোডে বাড়ি নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল আনতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যখন দোকানে পৌঁছেছি তখন তেমন একটা যানজট ছিল না। যেই মালামাল নিয়ে বের হবো তখন দেখি সব রাস্তা বন্ধ। পরে দুই ঘণ্টার অধিক সময় পার করে মালামাল নিয়ে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছি।’

    অন্যদিকে সাদিক আবদুল্লাহ তার মেয়রের মেয়াদকাল পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার চারদিন আগেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে নানান সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, চাচার হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে অনীহার কারণেই চারদিন আগে তিনি অব্যাহিত নিয়েছেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    পিরোজপুরে আফতাবউদ্দিন কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে আফতাবউদ্দিন কলেজে নবীনবরণ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে পিরোজপুর পৌরসভার একমাত্র...