আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশাল—১ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী গতকাল শনিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলার তালতায় লাঙ্গল মার্কার নির্বাচনী অফিসে নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষনা করেন।
ইশতিহারে সবচেয়ে গুরুত্ব¡ পেয়েছে নিজ হাতে ভোট প্রদান প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি করা ও দ্রব্য মূল্য জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা। তার নির্বাচন ইশতিহারে ৩৭ দফা উল্লেখ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের হাতে যদি ভোট দেওয়ার সীল দেয়া হয় আর জনগন যদি তাদের ইচ্ছে মতো ভোট দিতে পারে তাহলে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কা বিজয়ী হবে। আমি এমপি হবো। আমি এমপি হয়ে জাতীয় সংসদে যেতে পারলে আমার নির্বাচনী ইশতিহার বাস্তবায়ন করবো। আমাকে যারা অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে তারা জাতীয় পাটির কেউ না। আমি ২২ বছর ধরে জাতীয় পার্টির সাথে থেকে রাজনীতি করে আসছি। দল আমাকে যোগ্যমনে করেই মনোনয়ন দিয়েছে।
আমি আগৈলঝাড়া—গৌরনদীর দুই উপজেলার নেতামকীর্দের নিয়ে মাঠে আছি। আমি দুই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে আমি লাঙ্গল মার্কার উঠান বৈঠক করেছি। যতখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির একটি ভোট থাকবে আমি ততখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সাথে থাকবো। যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা জাতীয় পার্টির কেউনা। তারা জাতীয় পার্টির শত্রু।
একটি গ্রুপ দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত তাদের ছেলে—মেয়ে, ফুফা, খালু ও মামাসহ আত্মীয়—স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি করে লুটপাট করে খেয়েছে। আমি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক দল আমাকে যোগ্য মনে করে লাঙ্গল মার্কার মনোনয়ন দিয়েছে। আমি দলের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী এ্যাড.ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী নির্বাচন ইশতিহারের সময় উপস্থিত ছিলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মো. হানিফ মৃধা, গৌরনদী উপজেলা যুব সংহতি সভাপতি মো. নিজামুল হক নান্নু, বাটজোর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. বাবুল সরদার, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের প্রদেশিক সম্পাদক মায়িন মাসুদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।