কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা পার্শ্ববর্তী লতাচাপলি ইউনিয়ন আছালতপাড়া গ্রামে তার স্ত্রীর রিয়া মনি ( ২২)ও আরিফ হোসেন (২৫) গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মহিপুর থানা পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুয়াকাটা লতাচাপলি ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড এর পশ্চিম আসালত খাঁ পাড়া থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মৃত আরিফ হোসেনের বাবার নাম আলী হোসেন ।
স্থানীয় ওপুলিশ জানান, আরিফ পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। তিনি কুয়াকাটায় পর্যটকদের ছবি তুলে রোজগার করতেন। তার বাবা-মা দুজনে ঢাকায় থাকেন। কিছুদিন আগে জমি কিনে এখানে ঘর তৈরি করেন আরিফ। গতকাল স্বামী স্ত্রী ৫ বছরের সন্তান সহ তারা মিস্ত্রিপাড়া আত্মীয় বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে আসেন। কি নিয়ে কি হয়েছে তেমন কোন কিছু কেউ বলতে পারেনি। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে শুনেছেন প্রতিবেশীরা।
রাত ১২টার দিকে এ দম্পত্তির একমাত্র শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ শুনে ঐ বাড়িতে যায় স্বজনরা। পরে রিয়া এবং আরিফকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। এসময় শিশু সুমাইয়া বাবার ঝুলন্ত মরদেহের দিকে তাকিয়ে কাঁদছিল।
রেখে যাওয়া ৫বছরের শিশু সন্তান সুমাইয়া কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলেন, সন্ধ্যায় মা ভাত রান্দেনাই বলে আব্বু মাকে মারছে হের পর মুই ঘুমাইছি। উঠে দেখি দুই জন গলায় দরি দিছে। মুই লাইট লয়াইয়া ঐ বাড়ির যাইয়া বাক দিছি । হেরা আইয়া মাকে নামাইছে ।
মৃত আরিফের ভাগ্নে খাইরুল জানান, তিনি গিয়ে তার মামাকে ঘরে এবং মামানিকে বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ মহিপুর থানায় নিয়ে আসছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরাদেহ দুটি পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।