নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের ব্যাসকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকে জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে চরম অনীহা দেখা গেছে। ওই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো: রাশেদুল ইসলাম রাসেল কোন দিবসেই পতাকা উত্তোলন করেন না।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসায় তারা দিবসগুলোতে নিজ দায়িত্বে দুই থেকে তিন হাতের মত পাটখড়ি,বাঁশের কঞ্চিতে পতাকা লাগিয়ে অফিসের সামনে সিঁড়ির পাশে ফেলে রাখেন।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) ব্যাসকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গিয়ে দেখা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায় তিন হাত সাইজের একটি বাশের কঞ্চিতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ক্লিনিকের সিঁড়ির পাশে রাখা হয়েছে। কঞ্চিতে গাথা সে পতাকাও উপুড় হয়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান শেখ ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাসেল শেখ কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে চাকরি নেন। চাকরি নেয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে চাকরির সুবাদে যখন খুশি তখন আসেন অফিসে। জাতীয় কোন দিবসেই নিজ দায়িত্বে উত্তোলন করেন না জাতীয় পতাকা। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে তার এমন চরম অনিহার ব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্য চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্লিনিক সংলগ্ন স্থানীয় মনিকা সূতার বলেন, রাসেল শেখের অফিসে আসতে একটু দেরি হয়।
তাই তিনি আমাদের বলে যান পতাকা টানাতে। কোন দিবস আসলেই পতাকা টাঙানোর ভার আমাদের উপর পড়ে। মহান ভাষা দিবসে দায়সারা এমনভাবে পতাকা টাঙানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিএইচসিপি রাসেল শেখ বাঁশ ভিতরে রেখে তালা মেরে চলে গেছেন। তাই আমি হাতের কাছে যা পেয়েছি তাই দিয়ে পতাকা টাঙিয়েছি। তার বাড়ি একটু দূরে।
তিনি আরে বলেন, সব সময় সব দিবসে আমরাই অফিসের পতাকা উত্তোলন করি। অফিসে আসতে তার দেরি হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি) রাসেল শেখ অভিযোগ অস্বীকার বলেন, সুন্দরভাবে পতাকা টাঙানোর জন্য সরকারিভাবে কিছু পাইনি।
তাই বাশের কঞ্চিতে পতাকা ঝুলানো হয়েছে। এ বিষয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।