More

    মঠবাড়িয়ায় সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়েই সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

    অবশ্যই পরুন

    পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নব নির্মিত বহুমুখী ফিস মার্কেট লাগোয়া পূর্ব পাশে জেলা পরিষদের খাল কিছুটা ভরাট করে পাড়ে একটি আধা পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনাটি নিরাপদ করতে এর পাশেই খালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট।

    সরকারী খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ বায়োগ্যাস প্লান্টসহ অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদের জন্য গত ১৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক (মজনু)। এ বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বুধবার (২৭ মার্চ) সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা কালে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    জানা গেছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় মঠবাড়িয়া পৌর শহরে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বহুমুখী (ফিস) মার্কেট নির্মিত হয়। নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী একটি মহল স্টিমেট (প্রাক্কলন) তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও সরকারী অফিস ম্যানেজ করে মনগড়াভাবে ভবনটি নির্মাণে প্রভাব বিস্তার করে।

    স্টিমেট অনুযায়ী ভবনটি নির্মিত না হওয়ায় ৩ বছর পরেও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ভবনটির উত্তর পাশে ডিসিআরের নামে ১৬টি অবৈধ দোকান নিরাপদ করার জন্য স্টিমেটের নিয়ম বহির্ভূত দেয়াল দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃর্পক্ষ ১৬টি দোকান ঘর উচ্ছেদ করলেও দেয়ালটি এখনও ভাঙা হয়নি।

    গ্রাউন্ড ফ্লোর সম্পূর্ণভাবে খোলা রাখার কথা থাকলে দেয়াল দিয়ে আটকিয়ে দেওয়ায় মার্কেটটি এখন বসত ঘরে পরিণত হয়েছে। ওই প্রকল্পের টাকা দিয়েই ফিস মার্কেট সংলগ্ন খালের পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে আধা পাকা একটি অবৈধ স্থাপনা। সাধারণ মানুষ এতদিন এ ঘরটিকে ফিস মার্কেটর নির্মিত ভবনের নির্মাণ সামগ্রী রাখার অস্থায়ী গৃহ মনে করলেও এখন শোনা যায় ভিন্ন কথা।

    অবৈধ দখলদাররা নানা কৌশলে সরকারি অফিস ম্যানেজ করে এ ঘরটি ডিসিআর নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস জানান, ঘরটি সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে করা হয়নি।

    এটি ডিসিআর নেওয়া হয়েছে। তবে পৌরসভার নাকের ডগায় থাকা এ ঘরটি কীসের তা জানেন না বর্তমান পৌর সচিব হারুন অর রশীদ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড সৈকত রায়হান জানান, এ ঘরটি কীসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে এবং কোন অবস্থায় আছে তা আমার জানা নেই।

    অভিযোগ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...