বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিএনপি নেতার দখলকৃত সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার। এ বিষয়ে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য তদন্তপূ্র্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে গৈলা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম—আহ্বায়ক জসীম মোল্লা ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসর পর সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত (ক) ১ একর ২৯ শতাংশ সম্পত্তি রাতের আধারে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নেয়।
যা গৈলা ইউনিয়নে কালুপাড়া মৌজার জেএল নং এস এ—৭৯, বিএস ৪৩, খতিয়ান নং—২৮৭, দাগ নং—৩৭৭ ও ৩৭৮ বিএস দাগ—৭০৩ নং দাগের ১একর ২৯ শতাংশ। সরকারি সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করে স্থাপনা তৈরিসহ শিহিপাশা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী সিরাজ সরদারের কাছে ৬ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে দেন ওই নেতা। ব্যবসায়ী সিরাজ সর্দার ওই স্থানে বর্তমানে পাকা স্থাপনা তৈরি করেছেন।
বাকী সম্পত্তি কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙারি ব্যবসায়ী ফোরকান মিয়ার কাছে মাসে ৬ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে আসছে দখলদার জসীম মোল্লা। ১ একর ২৯ শতাংশ সম্পত্তি থেকে ১ একর ২৩ শতাংশ বরাদ্দ এনে সরকারের প্রাণী সম্পদ বিভাগের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পূর্ব থেকে ওই স্থানে বহাল ছিল। বাকী ৬ শতাংশ সম্পত্তি দক্ষিণ গৈলা গ্রামের মোবারক আলী সরদারের ছেলে জেন্নাত আলী সর্দার সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ এনে বসবাস করে আসছে।
এর পূর্বেও একাধিকবার এই দখলকৃত সম্পত্তি উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করতে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে দখলমুক্ত করতে পারেনি। এই সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সুপারিশক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিনের কাছে বুধবার ওই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
ব্যাপারে গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার বলেন, সরকারের জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য আমি জনগণের পক্ষে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। আমার করা আবেদনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ সুপারিশ করেছেন।
অভিযুক্ত দখলদার বিএনপি নেতা জসীম মোল্লা বলেন, আমি সরকারি সম্পত্তি দখল করিনি। আমার পিতা ডিগ্রি সত্যে ওই সম্পত্তির মালিক। এই জায়গা নিয়ে আদালতের মামলায় আমি দুই বার রায় পেয়েছি। আমার জায়গার কিছু অংশ আমি বিক্রি করেছি। ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিনকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।