More

    আগৈলঝাড়ায় তীব্র গরমে চোখ জুড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া—জারুল

    অবশ্যই পরুন

    তীব্র তাপদাহে নাজেহাল জনজীবন। কোথায় গেলে একটু শান্তি মিলবে, সেই খোঁজ করে চলেছেন সবাই। ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে গলা ভিজিয়ে আর এসির হাওয়া গায়ে লাগিয়ে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে বটে, তবে গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে চোখ জুড়ানো আর মন ভরানো স্বস্তি মিলছে পথের কিনারে ফুটে থাকা লাল—হলুদ ফুলে।

    গাছে—গাছে বর্ণিল সবুজ ফুলের সমারোহ। কোথাও টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া, কোথাও কমলা রঙের রাধাচূড়া। কোথাও আবার ছেয়ে আছে স্নিগ্ধ বেগুনি রঙের জারুল। পথ চলতে থমকে দাঁড়িয়ে এসব ফুলের দিকে কিছুক্ষণ চাননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার হবে নিশ্চয়ই।

    আর মিষ্টি হলুদ রঙের সোনাঝরা সোনালুর ঝলমলে চাহনি গ্রীষ্মের রূপে যোগ করে দ্বিগুণ মাত্রা। এ সময়ে সারা দেশের মতোই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পথে—প্রান্তরে চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম পুষ্পরাজি।

    বিশেষ করে আগৈলঝাড়া—গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশেসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া ও জারুল। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া এক ধরনের প্রশান্তি এনে দিচ্ছে।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন বলেন, উপজেলা চত্বরে অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের প্রখর রোদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে সবুজ চিরল পাতার মাঝে ফুটেছে এই রক্তিম পুষ্পরাজি।

    দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন আগুন জ্বলছে। ফুল দেখলে মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। আর কৃষ্ণচূড়া ফুলে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাশ গুপ্ত বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া সত্যিই নয়নাভিরাম।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...