More

    আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের দাবি

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত আইন—শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি।

    বৃহস্পতিবার এ দাবি জানিয়ে ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন ওই প্রার্থী। আগামী ৯ মে আগৈলঝাড়া উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনের বিধি মেনে যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি তার দোয়াত—কলম প্রতীকের প্রচারণা করেন। সেই অনুযায়ী গত ৩ মে উপজেলার রত্নপুর এলাকায় প্রচারণায় যান। দুপুরে মোহনকাঠী এলাকার সুন্দরগাঁও এলাকায় গেলে আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত (আনারস মার্কার) কমীর্ রত্নপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশ্রাফ মীর দলবল নিয়ে বাঁধা ও হুমকি দেন।

    সে রত্নপুর এলাকাকে নিজের বলে দাবি করে এই ইউনিয়নে কোনো ভোট চাওয়া ও ডিস্টার্ব করতে পারবো না বলে হুঁশিয়ারি দেয় এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আশ্রাফ মীর হুমকি দিয়ে আরও বলে, গৈলায় টিটু চেয়ারম্যান, পয়সার হাটে ফিরোজ শিকদার, বাঁকালে বিপুল চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কোথাও দোয়াত—কলমের প্রচার চালাতে দেব না বলে আমরা নেতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

    নির্বাচনের পরে আমাকে ও আমার সমর্থকসহ দোয়াত—কলমের ভোট দানকারীদের দেখে নেবে বলে চরম হুমকি দেয়। সে আরও বলতে থাকে যে, ছাত্রলীগের ছেলেরা ভোটের পরে আমাকে ভারত পাঠিয়ে দেবে বলে বক্তব্য দিয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ভোট ভিক্ষা চাওয়া সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে প্রার্থী যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি দাবি করেছেন, ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই স্থান ত্যাগে বাধ্য করে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন ঘটনা ভিডিও করতে চাইলে তার মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা সারা উপজেলার সাধারণ জনগণকে চরম ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আনারস প্রতীকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেশে থাকতে দেবে না মর্মে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে চলছে। দোয়াত—কলম প্রতীকে এজেন্ট হলে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ জনপদ এখন ভীতির নগরীতে পরিণত হয়েছে।

    এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন ও রিটানিং কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রির একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। জেলা

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...