মোটরসাইকেল কিনতে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে স্ত্রীর মামলায় পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. রফিকুল ইসলাম বুধবার অনুসন্ধান প্রতিবেদন পেয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার চরকুশালা গ্রামের শরীফ মো. নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফ আল আমীন ও তার ভাই শরীফ আলমগীর হোসেন। শরীফ আল আমীন ঢাকা মেট্রো রেল পুলিশে কর্মরত। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বাদীর পরিবার কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদীকে তুলে দেয়। কয়েক দিন পর পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ২১ এপ্রিল তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাদীর মা দেড় লাখ টাকা সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যকে আসতে বলেন।
পুলিশ সদস্য তার ভাইকে নিয়ে ২৪ এপ্রিল বিকালে আমতলী তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। ২৫ এপ্রিল দুপুরে খাবার পর বাদীর মা তার জামাতার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বলেন, বাবা আমার তো স্বামী নেই। আপাতত দেড় লাখ টাকা দিলাম। বাকি টাকা পরে দেব।
এ সময় আসামি শরীফ আল আমীন বলেন, যৌতুক দিতে না পারলে আমরা চলে যাচ্ছি। এমন সময় বাদী তার স্বামীর হাত ধরলে শরীফ আল আমীন তার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে দরজার ওপর ফেলে দেয়। এতে বাদী মারাত্মক জখম হন। বাদীকে তার মা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে আসামিরা চলে যান।
বাদী ফারজানা স্বর্ণা বলেন, আমি প্রেম করে শরীফ আল আমীনকে বিয়ে করি। তিন মাসের মধ্য আমার স্বামী মোটরসাইকেল কেনার জন্য আমার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দিলেও আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।