More

    সদর থেকে গ্রামে লোডশেডিং আরো ভয়াবহ আগৈলঝাড়ায় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন

    অবশ্যই পরুন

    লোডশেডিংয়ের কারণে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর থেকে গ্রামে লোডশেডিং আরো ভয়াবহতা বিরাজ করছে।

    গতকাল বুধবার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ঘুরে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকা ভিত্তিক দিনে রাতে মোট আট থেকে দশ বার লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। এতে করে লোডশেডিং এর কারণে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

    আগৈলঝাড়া পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৫২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের বর্তমানে বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১৬ মেগাওয়াট থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৭ মেগাওয়াট। যার কারণে এই এলাকায় লোডশেডিং এর তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। কয়েকদিন ধরে ঘনঘন লোডশেডিং সংকটে জীবনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক গুণ। এই বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বিদ্যুৎ অফিস। তাই এলাকা ভিত্তিক শুরু হয়েছে লোডশেডিং।

    চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সর্বত্র দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারনে বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কারনে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প—কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা—বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর পরই উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট—বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে টেলিভিশন, ফ্রিজ, মটর, কম্পিউটারসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় উপজেলার অসংখ্য ইজিবাইক চালকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    এদিকে গরমের কারণে বেড়ে গেছে বিদ্যুতের চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারার কারণে উপজেলার সর্বত্র চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। উপজেলার বাশাইল গ্রামের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার আট থেকে দশ বার লোডশেডিং দেয়া হয়েছে।

    এতে করে লোডশেডিং এর কারণে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বাশাইল গ্রামের গৃহিণী আমেনা বেগম জানান, রাতে বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং এর কারণে ঘরে ঘুমাতে না পেরে পরিবার নিয়ে বাধ্য হয়ে বাহিরে যেতে হচ্ছে।

    গৈলার ব্যবসায়ী একলেচ সরদার জানান, গত কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার দিকেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আসছে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর। এই ঘটনা একবার নয় দিনে রাতে কয়েকবার। সন্ধ্যার পর এবং রাতে কয়েকবার দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একতো তাপপ্রবাহ আবার তীব্র লোডশেডিং এর কারণে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে।

    এব্যাপারে আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অসিত কুমার সাহা বলেন, পায়রার একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া উপজেলায় বর্তমানে বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১৬ মেগাওয়াট থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৭ মেগাওয়াট। যা চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...