দুমকি পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ফ্যাসিজম পরবর্তী এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) এখনও বৈষম্য, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অরাজকতা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে জিয়া পরিষদ (কর্মকর্তা ইউনিট)। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট)বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
জিয়া পরিষদের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট আমলের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তারা এখনও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে বহাল থেকে “জুলাই বিপ্লব”কে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
জিয়া পরিষদ (কর্মকর্তা ইউনিট) সভাপতি মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক হাছিব মো. তুষার এর স্বাক্ষরে স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো—
১. ফ্যাসিজমে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২. কর্মকর্তাদের খণ্ডকালীন নিয়োগ স্থায়ী করা।
৩. রেজিস্ট্রার, পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের পরিবর্তে সিনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান এবং জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
৪. অর্থ ও হিসাব শাখায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা।
৫. সাম্প্রতিক ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার অনিয়ম তদন্ত এবং ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ বণ্টনে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত।
সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা সাধারণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কমিশন থেকে একযোগে পদত্যাগ, সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।