জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় হল ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে (সাবেক বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক ঘণ্টা ধরে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর ১২টা দিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এই খবর পেয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান লোকজন নিয়ে ছাত্রী হলে ঢুকে পড়েন। এতে পরিস্থিতিও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, ছাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত হলে আব্দুল গাফফার জিসান নামে সাদীর একজন সমর্থক সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বের করে দিতে চান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ধাক্কা দেন। এতে তার সঙ্গে সাংবাদিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে জাকসুর নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বের করে দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর দুপুর সোয়া একটার পর হলটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বহিরাগত হয়ে মেয়েদের হলে প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জিসান বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলে সমস্যা সমাধানের জন্য এসেছেন। প্রশাসনের কেউ না হয়ে তিনি কেন এই দায়িত্ব নিলেন- এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।
হলের অন্যান্য প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী এখানে প্রবেশ করেছেন। অথচ এখানে প্রবেশের এখতিয়ার তার নেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ কে রাশিদুল আলম বলেন, কেন্দ্রে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ছাত্রদলের ভিপির কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
