ভোলার চরফ্যাশনের সাগর মোহনায় জেলে ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে রুবেল (৩৩) নামের এক জলদস্যু চক্রের সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলারসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওই জলদস্যু সদস্য রুবেল কক্সবাজার এলাকার বাঁশখালী এলাকার বলে জানা গেছে। হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ইউসুফ মাঝির একটি মাছ ধরা ট্রলার সাগর মোহনা থেকে দস্যুচক্র মাছ ও জালসহ কক্সবাজার এলাকার বাঁশখালী এলাকার সাগর মোহনা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ওই ট্রলার দিয়ে জলদস্যুরা সাগরে থাকা বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করে আসছিলেন।
পরে সাগরে থাকা জেলেরা বিষয়টি টের পেয়ে অপর জেলে ট্রলারের জেলেদের সহযোগিতায় তাদের ধাওয়া করেন। জেলেদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা জলদস্যু চক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও রুবেল নামের একজন ট্রলারে থেকে পালাতে পারেনি। এসময় জেলেরা তাকে ছিনতাই হওয়া ট্রলারসহ তাকে আটক করেন। পরে তারা ওই জলদস্যু চক্রের সদস্যকে হাজারীগঞ্জ ঘাটে নিয়ে এলে শশীভূষণ থানা পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
হাজারীগঞ্জ ঘাটের ট্রলার মালিক ইউসুফ জানান, গত সোমবার সাগর মোহনা থেকে তার ট্রলারে থাকা জেলেদেরকে নদীতে ফেলে দিয়ে তার ট্রলারটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জলদস্যু চক্রের সদস্যরা ওই ট্রলার দিয়ে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করছিলেন।
সাগরে থাকা অপর জেলেরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ভোলার দক্ষিণ উপকূলের সাগর মোহনা থেকে ধাওয়া করে আটক করে ঘাটে ফিরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। শশীভূষণ থানার ওসি মো. তারিক হাসান রাসেল জানান, সাগরে থাকা ট্রলার আটককৃত ওই ডাকাতকে নিয়ে ঘাটে ফিরে গণসৃষ্টির প্রস্তুতি নিলে খবর পেয়ে পুলিশ হাজারীগঞ্জ ঘাট থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এখনো তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।