ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।
এখানে ফ্যাসিস্ট পিআর হবে না, সব আদর্শের মানুষদের নিয়ে সংসদ গঠন হবে, কোন পেশি শক্তির ব্যবহার হবে না এবং কোন ধরনের ভোট সেন্টার দখল হবে না। আমরা ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করতেছি। আগামীতে ইনশাআল্লাহ ইসলামের বাংলাদেশ হবে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। যদি বর্তমানে প্রশাসনকে নতুন করে ঢেলে না সাজানো না হয়, তাহলে নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।’
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডাকসুর নির্বাচনে বাম, রাম এবং ভারতপন্থীদের কবর হয়েছে, ইসলামের উত্থান হয়েছে। নবাব সলিমুল্লাহ (র.) মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার ওয়াকফকৃত জমিনে দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা মুসলিমরা কোণঠাসা ছিলাম। সেখানে মুসলমানদের যেখানে ঠিকভাবে চলতে দেওয়া হয়নি, মুসলমানরা বুক ফুলিয়ে হাঁটতে পারেনি। এই নির্বাচনে ভারতপন্থীদের কবর হয়েছে এবং ইসলামপন্থীদের বিজয় হয়েছে। এখন মুসলিমরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
গাইডলাইন অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাতের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সাজ্জাদ সাব্বিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মনসুর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আহমাদ আব্দুল জলিল, ঢাবি ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা হিরা সরকার,
ইসলামী আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি আলহাজ্ব আহম্মদ আলী, ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি ডা. এইচ এম মোতাজুল করিম ও উপদেষ্টা আলহাজ্ব নুর আলম বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জমারত আলী এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আনোয়ার খান।