More

    বাকেরগঞ্জ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থী আশংকাজনক হারে কমছে

    অবশ্যই পরুন

    বাকেরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ উপজেলা শহরের আশপাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি বছর আশংকা জনক হারে কমছে। বিশেষ করে মুসলমান ঘরের সন্তানদের অভিভাবকেরা নূরানী মাদ্রাসার দিকে ঝুকছে। যার কারনে প্রতি বছরই ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
    সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা,উপ বৃত্তি, আধুনিক বিদ্যালয় ভবন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও ইসলামিক শিক্ষার জ্ঞান অর্জনের তাগিদে অভিভাবকেরা সন্তানদের বিভিন্ন নূরানী মাদ্রাসা,ও মক্তবে ভর্তি করাচ্ছে।

    উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্হানের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও মফস্বল লেভেলে একদমই কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, ইসলামিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান।

    অপরদিকে কিছু অভিভাবক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চেয়ে এখন বিভিন্ন নুরানি মাদ্রাসায় দায়িত্বশীল ভাবে শিক্ষকেরা শিশুদের পাঠদান করান।

    গ্রাম অঞ্চলের প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারন সম্পর্কে উপজেলার ১০০ নং হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল হক বলেন, এখন অনেক মানুষই শহর মুখি হয়েছে এবং সেখানে লেখা পড়ার পাশাপাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা হাতের কাছেই পাওয়া যায় বিধায় সেখানের স্কুল, মাদ্রাসায় অনেক বাবা,মা,তাদের সন্তানদের ভর্তি করান। এর ফলে গ্রামের বিদ্যালয়গুলো চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।

    যদিও নূরানী মাদ্রাসা গুলোতে প্রতিমাসে বেতন দিয়ে পড়াশোনা করতে হয়, তথাপিও সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারন হিসাবে পাঠদানে নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চেয়ে যত্ন বান বলে অভিভাবকেরা মনে করেন।

    অপরদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশিরভাগই উপজেলা সদর বাকেরগঞ্জ এবং জেলা শহর বরিশালে বাসা নিয়ে থাকে। যার কারণে পথের দুরত্ব বেড়ে যাওয়ায় সঠিক সময়ে তাদের স্কুলে পৌঁছাতে বিলম্ব ঘটে। যার একটা নেতিবাচক প্রভাব পাঠদানের উপরে পড়ে।

    অনেক স্কুলের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে অধিকাংশ শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক উপজেলার মোট ২৭৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে , বিগত ( তিন) বছরে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যা যথাক্রমে ২০২৩ সালে ৩১৩৫৮ জন,২০২৪ সালে ৩৫০৩০ জন এবং বর্তমান চলতি ২০২৫ সালে ২৯৭৫২ জন। গত এক বছরের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ৫২৭৮ জন শিক্ষার্থী আগের বছরের চেয়ে কম। এভাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উঠা নামার আসল রহস্য কি?

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানতে চাইলে তিনি বলেন , ছাত্র – ছাত্রী বৃদ্ধির ব্যাপারে শিক্ষকেরা যথেষ্ট আন্তরিক, আগামী বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি , আশা বাদী।
    অপর দিকে নুরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হওয়া প্রসংগে তিনি জানান, আমরা সবাই ইসলাম ধর্মের লোক। সবাই চায় তার সন্তান ইসলামীক আদর্শের মধ্যে বেড়ে উঠুক। তাই অনেক বাবা মা তাদের সন্তান দের মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্য ইচ্ছে পোষণ করে , দেখা দুই তিন বছর পর আবার কিছু শিক্ষার্থী ঠিকই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    আফগানিস্তানকে হারিয়ে লঙ্কানদের দিকে তাকিয়ে টাইগাররা

    আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে রইল বাংলাদেশ। তবে লঙ্কানদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হচ্ছে টাইগারদের। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)...