রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নাহিদ।
এদিন তিনি মামলার ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জেরা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেনের প্রশ্নে।
নাহিদ বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সাময়িক সমাধান। তাদের দলগতভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ জনগণকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই অপরাধের দায় পুরো দলের। তাই আদালতের কাছে আবেদন জানাবো, আওয়ামী লীগকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’
তিনি আরও যোগ করেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে।
জেরার সময় আইনজীবী আমির হোসেন নাহিদকে প্রশ্ন করেন- ৫ আগস্ট তার ওপর নির্যাতনের ঘটনায় কেন মামলা করেননি। জবাবে নাহিদ বলেন, ‘এসব অত্যাচার শুধু আমার বিরুদ্ধে হয়নি, বরং গোটা জনগণের বিরুদ্ধে হয়েছিল। তাই ব্যক্তিগত মামলা করিনি, তবে গুমের ঘটনায় গুম কমিশনে আলাদা অভিযোগ দিয়েছি।’
এদিন বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে নাহিদের জেরা শুরু হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় তা শেষ হয়। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বরও তিনি একই মামলায় সাক্ষ্য দেন।