তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছিল আফগানিস্তান। তাই সিরিজের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। যেখানে দুর্দান্ত বোলিং করে আফগানদের ১৯০ রানে থামিয়েছে মিরাজ-রিশাদরা। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। শনিবার (১১ অক্টোবর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি গুরবাজ।
পঞ্চম ওভারে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১১ বলে ১১ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে নেমে জাদরানকে সঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেদিকুল্লাহ আতাল। নবম ওভারের চতুর্থ বলে তানভীরের প্রথম শিকার হন তিনি। ৬ বলে ৫ রান করেছেন এই ব্যাটার। এতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন জাদরান। তবে ১১ বলে ৯ রান করে রহমত শাহ আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে ছন্দপতন হয় আফগানদের। ১২ বলে রান করে মিরাজের বলে বোল্ড আউট হন হাশমতুল্লাহ শাহীদি। আর রিশাদের বলে ডাক আউট হন ওমরজাই। এতে ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন জাদরান। তাকে সঙ্গ দেন নবি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি এই আফগান অলরাউন্ডার।
৩০ বলে ২২ রান করে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার বনে যান তিনি। ২৪ বলে ১৩ রান করেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি রশিদ খানও। ২ বলে ১ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। অন্যদিকে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে জাদরানকে। ১৪০ বলে ৯৫ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। শেষ দিকে গাজানফার ২২ রানে রানে আউট হলেও ৯ উইকেট হারায় আফগানরা।
কিন্তু দশম ব্যাট হয়ে রহমত শাহ আবারও মাঠে নামলেও পিচে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি না থাকায় আবারও সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এতে ১৯০ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাচ। এ ছাড়াও রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব দুটি করে এবং এক উইকেট নেন তানভীর ইসলাম।