পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে অর্থ ও সম্পদের সঙ্গে সর্বস্ব হারিয়ে লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর প্যাদার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মরিয়ম বেগম(৪৩) নামের এক নারী।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই নারীর পিতা মো. মোসলেম দফাদার, ভাই মো. আব্দুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে মরিয়ম বেগম বলেন, বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিগর বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আফতের গাজীর ছেলে কামাল হোসেন সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ১৭ বছর পর তার মৃত্যু হয়। সেই সংসারে তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ওই নারীর স্বামী কামাল হোসেন জীবিত থাকা অবস্থায় তাদের বাড়ি পাশে লালুয়া ইউনিয়নের কলাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন প্যাদার ছেলে মজিবর প্যাদা মাছের ব্যবসা করত। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিলো।
তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলো মজিবর। পরবর্তীতে ৪ বছর আগে পটুয়াখালী নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাবিন নামার মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্ত্রী হিসেবে ওই নারীকে গ্রহন করে মজিবর। পরে তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সকলকে সন্তুষ্ট করে তাদের সম্পত্তি আত্মসাতের পথে নামে মজিবর।
২০২১ সালে তাদের বসতবাড়িসহ জমি পায়রা বন্দরের অধিগ্রহন করে। অধিগ্রহনকৃত তার এবং তার ভাই আব্দুর রহমান এর ৪৭ লাখ টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে সটকে পরে মজিববর। পরে ওই নারী টাকা এবং স্ত্রীর অধিকার আদায়ে গেলেই ২৭ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে তাকে তাড়িয়ে দেয়।
টাকা এবং স্বামীর অধিকারের জন্য চাপ দিলে মজিবুর প্যাদা ওই নারী এবং তার বাবা মোসলেম দফাদার, ভাই আব্দুর রহমানকে আসামী করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করেন। বর্তমানে বিধবা ওই নারী স্বামীর অধিকার আদায়ে ঘুরছেন প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার পরিবারেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছি। আমি একজন অসহায় নারী। আমি চাই আমার প্রতি সংঘটিত অন্যায়ের বিচার হোক এবং আমার স্বামী মজিবরের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আমি চাই, আমার নামে ব্যাংকে জমা রাখা টাকা ফেরত পাই।
তাই তিনি ন্যায় বিচারের নিশ্চিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজিবর প্যাদা বলেন,মরিয়ম বেগমের সাথে আমার কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নেই। তাদের কাছে আমি টাকা পাবো। এজন্য মামলা দায়ের করেছি, মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। পাওনা টাকা যাতে চাইতে না পারি এজন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।