More

    বরিশাল মডেল কলেজ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য ফাঁস!

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক এম মাজহারুল ইসলাম তৃষানের কোচিং ব্যবসা রমরমা। কোন শিক্ষার্থী কোচিংয়ে না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করানো, ক্লাশে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলছেন, শিক্ষকদের কোচিং বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অমান্য করে কোচিং ব্যবসার ফলে শিক্ষার্থীরা ফলাফলে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে।

    ফ্যাসিবাদের দোসর বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ এহতেশামুল হক কলেজটিকে ফ্যাসিস্টদের আখড়া হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমন্ত্রিত শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সুপারিশে কে এম মাহারুজ ইসলাম তৃষানকে আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    এম মাহারুজ ইসলাম তৃষান প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের আগে থেকেই কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত। বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম ও সুখ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে কোচিং ব্যবসা জোরদার করেন এম মাহারুজ ইসলাম তৃষান নামের এই শিক্ষক। তিনি এডু কেয়ার কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত। বাড়তি আয় রোজগার হিসেবে বাসায় স্থাপন করেছেন টিউশন ব্যবসা।তৃষানের রয়েছে বড় এক সিন্ডিকেট। যারা ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর কাজ করে যাচ্ছেন।

    তৃষানের কোচিং ব্যবসার মুখোশ উন্মোচন করেছে অভিভাবকরা। এই অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজকে ঘিরে, যেখানে অভিভাবকরা দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির খন্ডকালীন শিক্ষক তৃষান শিক্ষার্থীদের জোর করে কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করে এবং যারা কোচিং করে না, তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেন।

    শিক্ষাবিদ সায়েদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এই অভিযোগগুলো কোনো কল্পকথা নয়। দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, অনেক শিক্ষক ক্লাসে পূর্ণাঙ্গ পাঠদান না করে কোচিং বা প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন। এই প্রবণতা শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তিকে ধ্বংস করছে। অনেক শিক্ষক সচেতনভাবে ক্লাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ান না, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে টিউশন করতে বাধ্য হয়। যারা প্রাইভেট পড়ে, তাদের ক্লাসে সহজ প্রশ্ন করে প্রশংসা করা হয় আর যারা পড়ে না, তাদের জটিল প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়।

    এই বৈষম্যমূলক আচরণ শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে আঘাত করে, তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে এবং শিক্ষকের প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধাবোধ কমিয়ে দেয়। অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে শিক্ষক এম মাজহারুল ইসলাম তৃষাণ বলেন, আমি বাড়তি আয়ের জন্য এডুকেয়ার কোচিংয়ে ক্লাস নেই এবং বাসায় টিউশন করাই। অবশ্য কলেজ থেকে এতে কোন অনুমতি নেই।

    এ ব্যাপারে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুন বলেন, এম মাহারুজ ইসলাম তৃষান আমার থেকে বা কলেজ থেকে কোচিং করানোর অনুমতি নেয়নি। কোচিং এটা আইন বিরোধী। আমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    উল্লেখ্য, কে এম মাহারুজ ইসলাম তৃষান মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লেংগুটিয়া গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদের পুত্র। ২০২২ সালে বরিশালের বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    রেকর্ডের বন্যা বইয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    প্রথম ইনিংস শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল জয়টা। কেন? সৌম্য সরকার আর সাইফ হাসানের ১৭৬ রানের রেকর্ডভাঙা জুটিটা শেষেই যে...