স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফিরোজ মাহমুদ নামে এক স্কুল শিক্ষক দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কারিমা আক্তার নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে কারার ব্যাপক তোলপাড় চলছে। গত ২২ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হবার পর দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন ওই শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ উপজেলার তুষখালী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনটিআরসি নিয়োগপ্রাপ্ত সমাজ-বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক। তিনি উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাতাকাটা গ্রামের মৃত. মন্নান ফরাজির ছেলে।
কারিমা আক্তার নাগরাভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ও একই ওয়ার্ডের পূর্ব পাতাকাটা গ্রামের মৃত. আব্দুল মান্নান হাওলাদারের মেয়ে। কারিমা আক্তারের শ্রেণি রোল নং-১৬. তার ২০২৬ সালে অনুষ্ঠাতব্য দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। গত ৫ অক্টোবর তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়। কাজীর সহকারী ক্বারী মো. রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ ও মাদ্রাসা ছাত্রী কারিমা আক্তারের মধ্যে আগে থেকেই চেনা জানা আছে।
তাদের বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তবে মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়নি। ধানীসাফা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মাওলানা শামসুল আলম (আলাউদ্দিন) জানান, আমার সহকারী ক্কারী রুহুল আমিন, শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ ও মাদ্রাসা ছাত্রী কারিমা আক্তারের নাম ঠিকানা বালামভুক্ত করেন। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ উঠায় আমি এটা রেজিস্ট্রি খাতায় এন্ট্রি করব না।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজ মাহমুদ বলেন, “বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে ঠিকই, তবে তার স্ত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ না হলে আনুষ্ঠানিকতা করবেন না বলে জানান। তিনি আরও বলেন, মেয়েটির (স্ত্রী) বাবা নেই। আমি একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

